ফতুল্লায় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিকেএসপির ১০ ব্যাটসম্যান দুই অংকও ছুঁতে পারেননি। তিন ব্যাটসম্যান তো রানই করতে পারেননি।
বল হাতে ধ্বংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছেন আল-আমিন হোসেন। বিকেএসপির প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের ৫জনই এই ডানহাতি পেসারের শিকার। এই ৫ উইকেট নিইতে ৮ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচ করেছেন তিনি। ২টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নাঈম হোসেন, তাও ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচে। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মনির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক (১ ওভারে কোনো রান না খরচ করেই ১ উইকেট)।
এর আগে অভিমন্যু ঈশ্বারানের ৯২ রান ও নাহিদুল ইসলামের ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক। অভিমন্যুর ১০৯ বলে ৯২ রানের ইনিংসটি ২টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো। আর ফিফটি করতে ৭০ বল খেলেন নাহিদুল। বলার মতো রান পাননি প্রাইম ব্যাংকের আর কেউই।
বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন বিকেএসপির সুমন খান, নওশাদ ইকবাল ও হাসান মুরাদ।
এই জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের তিনে উঠে এলো প্রাইম ব্যাংক। আর ৯ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় নিয়ে নবম স্থানে বিকেএসপি।
দিনের আরেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৯ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। শুরুতে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করেছিল গাজী গ্রুপ। ৮১ রানের ইনিংস খেলে দলের এই সংগ্রহে বড় ভূমিকা রাখেন কামরান ঘুলাম। ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদি হাসান।
জবাবে ১৯৭ রানেই থেমে যায় ব্রাদার্সের ইনিংস। বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে মূল ভূমিকা রাখেন নাসুম আহমেদ। ৩ উইকেট যায় সঞ্জিত শাহ’র দখলে।
এই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকার সাতে আছে গাজী গ্রুপ আর ব্রাদার্স আছে দশে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
এমএইচএম