টি-টোয়েন্টিতে টানা ১২ ম্যাচ জেতার রেকর্ড যাদের দখলে, সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে তো রীতিমত পুঁচকে দল। কিন্তু শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা দলটির অধিনায়ক মাসাকাদজা নিজেই পথে দেখালেন।
মাসাকাদজা শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করে মাঠে ছাড়তে না পারলেও জয়ের আসল ভিত্তিটা তিনিই গড়ে দিয়েছেন। আর তাতেই ১৫৭ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নিল জিম্বাবুয়ে।
আফগানদের দুর্দান্ত স্পিন আক্রমণের বিপক্ষে লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা এমনিতেই কঠিন কাজ। কিন্তু এই ম্যাচে শুরু থেকেই যেন সব হিসাব পাল্টে দিতে চেয়েছেন মাসাকাদজা। ওপেনিং জুটিতে ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়ার পর দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগে চাকাভাকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়েন তিনি। তার ৭১ রানের ইনিংসটি ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো।
দওলাত জাদরানের বলে লং অনে থাকা নবীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাসাকাদজা বিদায় নিলেও শন উইলিয়ামসকে নিয়ে বাকি পথ মসৃণভাবেই পাড়ি দেয় জিম্বাবুয়ে। ৩২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলা চাকাভা অবশ্য দলের জয়ে মাঠে থাকতে পারেননি। মুজিবের বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তবে উইলিয়ামস ২৪ বলে ২১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামে আফগানিস্তান। ওপেনিং জুটিতেই ৮৩ রান তোলেন দুই আফগান ওপেনার গুরবাজ ও হজরতুল্লাহ জাজাই। ২৪ বলে ৩১ রান করে জাজাই বিদায় নেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের পেসার টিনোটেন্ডা মাতুমবোজি ও ক্রিস এমপোফুর বোলিং তোপে ১২৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা।
শেষদিকে আফগানদের রানের চাকা আটকে রাখার পাশাপাশি আরও ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ১৫৫ রানে থামিয়ে দেন জিম্বাবুয়ে বোলাররা। আফগানদের ইনিংসে সর্বোচ্চ রান আসে গুরবাজের ব্যাট থেকে ৬১ রানের ইনিংসটি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো।
বল হাতে ৪ ওভারে ৩০ রান খরচে ৪ উইকেট নিয়েছেন এমপোফু। ২ উইকেট গেছে মাতুমবোজির দখলে। আর ১টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন জার্ভিস ও শন উইলিয়ামস।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নেওয়া এমপফু।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএইচএম