ভারত সফরের আগে মিরপুরে ২৭ ও ২৮ অক্টোবর দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তবে সেই প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি টাইগারদের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
গুঞ্জন উঠে আসন্ন ভারত সফরে না-ও যেতে পারেন সাকিব। বিসিবি’র নিয়ম অমান্য করে টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ও অনুশীলন ম্যাচে না থাকা, সবকিছু মিলিয়েই বাতাসে গুঞ্জন, শাস্তি পেতে চলেছেন উজ্জ্বল এ ক্রিকেটার।
তবে শাস্তির উপলক্ষ্যটা যে এরকম হবে তা কেউই আঁচ করতে পারেনি। জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাবের তথ্য গোপন রাখায় আইসিসি নিষিদ্ধ করেছে সাকিবকে। এর আগেও দুই বার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসান টেলিভিশন ক্যামেরার দিকে একটি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। পরবর্তীতে সাকিবকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
একই বছর বোর্ডের শৃঙ্খলাভঙ্গ ও আচরণগত সমস্যার অভিযোগ ওঠে সাকিবের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ০৭ জুলাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সাকিব আল হাসানকে ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক সবধরনের ক্রিকেট থেকে ছয় মাসের জন্যে নিষিদ্ধ করেছিল।
এছাড়াও শাস্তি হিসেবে পরবর্তী দেড় বছর দেশের বাইরে কোনো টুর্নামেন্টে খেলার জন্য এই অলরাউন্ডারকে অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছিল বিসিবি। এরপর আবেদনের প্রেক্ষিতে সাকিব আল হাসানের শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। পরবর্তীতে সেবার নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে তিন মাস করা হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর নিষিদ্ধ হন সাকিব। তবে এবারে নিষেধাজ্ঞাটি আরোপ করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। জুয়াড়ির কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাবের তথ্য গোপন করায় দুই বছর নিষিদ্ধ সাকিব। এক বছর পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকতে হবে সাকিবকে। পরবর্তী এক বছর ক্রিকেটে ফিরলেও পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি। কোনো ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই ফের শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
আরএআর/এসএ