২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ১৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইরফানের। ওই ম্যাচে ১৬০ রান খরচ করে সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেনের উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হ্যাটট্রিক পাওয়া ছিল ইরফানের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। এরপর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ম্যাচ সেরা নির্বাচিতও হয়েছিলেন তিনি।
ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন ইরফান পাঠান। দলের প্রয়োজনে ওপেনিং এবং তিন নম্বরেও ব্যাটিং করতে দেখা গেছে তাকে। ২৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে তার গড় ৩১.৫৭। এই সময়ে ৪০ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি ফিফটিও এসেছিল। ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাটিং যথাক্রমে ২৩.৩৯ এবং ২৪.৫৭।
অলরাউন্ডার ইরফানের সেরা পারফরম্যান্সের দেখা পাওয়া যায় ২০০৭-০৮ মৌসুমের অস্ট্রেলিয়া সফরে। সেবার পার্থে অজিদের বিপক্ষে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন তিনি।
২০০০-এর দশকের শেষদিকে স্পিড আর সুইং নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান ইরফান, যা দলে তার অবস্থান নড়বড়ে করে দেয়। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলেন তিনি। তবে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি।
২০১২ সালে নিজের শেষ ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলে ফেলেন ইরফান। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটেও জায়গা হারাতে থাকেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৮৪ উইকেট, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ২৭২ উইকেট আর ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে ১৭৩ উইকেট তার ঝুলিতে যুক্ত হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে পেশাদার ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করা ৩৫ বছর বয়সী ইরফান ২০১৭ সালে সর্বশেষ আইপিএল খেলেছেন। এরপর টানা তিন মৌসুমে কোনো দল তাকে কেনার আগ্রহ দেখায়নি।
বাংলাদেশ সময় : ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এমএইচএম