প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন করেছেন পেসার শাহাদাত হোসেন। ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার অর্থ যোগাতে ক্রিকেটে ফিরতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে জাতীয় ক্রিকেট লিগের এক ম্যাচে মাঠেই সতীর্থ আরাফাত সানির গায়ে হাত তোলার অপরাধে পাঁচ বছর (২ বছর স্থগিত) নিষিদ্ধ ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল বিসিবি। সেই নিষেধাজ্ঞার দেড় বছর না যেতেই সাজা কমানোর আবেদন করলেন তিনি। শাহাদাত আচরণবিধির লেভেল-৪ ভেঙেছিলেন। এই ধারায় তিন আজীবন নিষিদ্ধও হতে পারতেন।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে ৩৩ বছর বয়সী পেসার বলেন, ‘সম্প্রতি আমি বোর্ডের কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন করেছি। বাকিটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। প্রতিযোগিতামূলক ফেরা আমার জন্য খুব জরুরি, কারণ আমার ক্যানসারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসা খরচ বহন করতে হবে। '
শাহাদাত আরও বলেন, ‘ক্রিকেট ছাড়া আমি আর কিছু করতে পারি না এবং আমি আমার ভুলের জন্য অনুতপ্ত। এরপর যদি আমার বিরুদ্ধে বিসিবি আর কোনো অভিযোগ পায় তাহলে আমি নিজের মুখই আর দেখাবো না। '
গত শনিবার একাডেমি মাঠে সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে নেট বোলার হিসেবে বল করার সময় শাহাদাতকে বের হয়ে যেতে বলা হয়। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না যে বল করতে পারব না। আমি সেখানে গিয়ে নেট বোলার হিসেবে বল করছিলাম, কিন্তু হঠাৎ প্রধান পিচ কিউরেটর গামিনি এসে আমাকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি অশ্রু ধরে রাখতে পারিনি যখন আমাকে বের করা দেওয়া হলো। সেখানে এমন কয়েকজন নেট বোলার ছিল যারা কখনো কোনো টুর্নামেন্টেই খেলেনি আর আমার নাম লর্ডসের অনার্স বোর্ডে উঠেছিল। '
বাংলাদেশের জার্সিতে ৩৮ টেস্ট এবং ৫১ ওয়ানডে খেলেছেন শাহাদাত। এছাড়া ৬টি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন তিনি। ২০১৫ সালের পর আর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাকে। এর আগে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল ক্রিকেটার শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে। যার জেরে ২০১৬ সালেও তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। তাকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এমএইচএম