জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে ৪ উইকেটে দরকার ছিল ৩৪ রান। চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে জয় এনে দিয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
২ বল বাকি থাকতে আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সাইফ হাসানরা। আইরিশদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৬৪ রান করে বাংলাদেশ। এর আগে ৭ উইকেটে ২৬৩ রান করে আয়ারল্যান্ড উলভস নামে পরিচিত আয়ারল্যান্ড-এ দল। এই জয়ে অনানুষ্ঠানিক ৫ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
রোববার (০৭ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনানুষ্ঠানিক দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় আয়ারল্যান্ড উলভস। ওপেনিং জুটিতেই ৮৮ রান করে তারা। ওপেনার জেমস ম্যাককলামকে (৪১) ফিরিয়ে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের মনে স্বস্তি আনেন সুমন খান।
এরপর স্টিভেন ডোহেনিকে (৩৭) নিয়ে দলের রান সচল রাখেন আরেক ওপেনার রুহান প্রিটোরিয়াস। দুইদিন আগে ৩০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। তবে সেরে ওঠেই দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন প্রিটোরিয়াস। রাকিবুল হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১২৫ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে করেন ৯০ রান।
এরপর অধিনায়ক হ্যারি ট্যাক্টরের ৩১, কার্টিস ক্যাম্পারের ৪, শেন গ্যাটকাটের ২৯, গ্যারেথ ডিলানির ১৮ রানের সুবাদে লড়াকু পুঁজি পায় আইরিশরা। মার্ক অ্যাডায়ার অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে।
বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে দু’টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন সুমন ও রাকিবুল। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুকিদুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম।
২৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু পায় বাংলাদেশও। দলীয় ৪৪ রানে ওপেনার তানজিদ হাসান (১৭) প্রিটোরিয়াসের বলে ফিরলে অধিনায়ক সাইফকে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে সেট হয়েও ৩৬ রানে ফিরেন সাইফ।
এরপর ইয়াসির আলী (৩১) ও তৌহিদ হৃদয়ের (৩১) সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে টেনে নিতে থাকেন জয়। দলীয় ১৭২ রানে ফেরার আগে ৯৫ বলে ৫ চারে ৬৬ রান করেন তিনি। এরপরই ব্যাটিংয়ে নেমে ঝড় বয়ে দেন শামীম। উইকেটরক্ষক আকবর আলী (০) রান আউট হয়ে ফিরলেও সুমনকে (১১) দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি। শামীমের ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩ চার ও ২ ছয়ে। চাপের মুখে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২১
ইউবি