চট্টগ্রাম: সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিতলেও ১০ পয়েন্ট হারিয়ে এগিয়ে থাকা হলো না তাদের।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, বিষয়টি খুবই হতাশাজনক। খেলার শুরুতে আমি বলেছিলাম এই সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি আজকে। কারণ এখন ওই পরিস্থিতি নেই যে, একটি ম্যাচ না জিতলে কিছু হবে না। প্রতিটি ম্যাচই এখন গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক ম্যাচেই পয়েন্ট আছে, প্রত্যেক ম্যাচেরই আলাদা মূল্য আছে। সেদিক থেকে আমি খুবই হতাশ, কারণ নিজেদের খেলাটা খেলতে পারিনি। যেটা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছি।
সিরিজ জিতলেও এ সিরিজে ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে মিরাজ-আফিফ ছাড়া রান পাননি কোনো ব্যাটার। দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন মুশফিকের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ালেও তৃতীয় ম্যাচে আবারও ব্যর্থ ব্যাটসম্যানরা।
দলের এমন পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম বলেন, আমার কাছে মনে হয় আমরা শুরুটা ভালোই করেছিলাম, ২১ ওভারে ১০০ করেছি ১ উইকেটে। মাঝে আমরা বেশকিছু উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। প্রথম ২০ ওভারে উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল, শেষের ২০ ওভার উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ ছিল। এমনকি দ্বিতীয় ইনিংসেও উইকেট অনেক ভালো ছিল। আমরা চেয়েছিলাম এখান থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট তুলে নিতে। কারণ কেউই ভবিষ্যতের কথা বলতে পারে না। আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে। পারবো কি পারবো না কোনো কিছুই গ্যারান্টি দেওয়া যায় না। যখন আপনার এ ধরণের সুযোগ থাকবে তখন সেটার সর্বোচ্চ সুবিধাটা তুলে নিতে হবে।
ওয়ানডে সুপারলিগে ভালো অবস্থানে থাকতে হলে কত পয়েন্ট হলে সেফ জোনে থাকা যাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তামিমের ব্যাখ্যা, আমরা যদি আর একটা-দুইটা ম্যাচও জিতি, হয়তো আমরা বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করবো। কিন্তু এটা আমার লক্ষ্য না, ব্যক্তিগত লক্ষ্য হল বাংলাদেশ সেরা চারে থেকে লিগ শেষ করবে। আপনি যদি ৭ বা ৮ নম্বর হয়ে বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করেন তাহলে সেটা কোনো পার্থক্য তৈরি করে না। যদি আমরা সেরা চারে থেকে যেতে পারি সেটাই একটা ব্যাপার হবে। অধিনায়ক হিসেবে চারে থেকে শেষ করাই আমার লক্ষ্য।
সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে তামিমের ব্যাট হাসলেও এবার হাসেনি তামিমের ব্যাট। আফগানদের বিপক্ষে দলের এ অধিনায়ক রান তিন ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ৩১ রান।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
এমআর/কেএআর/টিসি