ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৩ সংস্থার অভিযানেও মিলেনি কোনো অনিয়ম!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
৩ সংস্থার অভিযানেও মিলেনি কোনো অনিয়ম! ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর থেকে চট্টগ্রামে ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) স্যালাইন নিয়ে চলছে অস্থিরতা। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে ফার্মেসিগুলোতে।

যদিও স্যালাইনের সরবরাহ ঠিক আছে বলে দাবি স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে অভিযান পরিচালানা করছে ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন সংস্থা।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় এক গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে ফার্মেসিগুলোতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি তিন সংস্থা।

কিন্তু বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালিত এ অভিযানে মিলেনি কোনো অনিয়ম।

অভিযান চলাকালে, বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরে দেখেন তারা। এ সময় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ব্যবহৃত ডিএনএস (ডেক্সট্রোজ নরমাল স্যালাইন) স্যালাইনের দাম যাচাই করা হয়। সব দোকানে স্যালাইনের মজুদ পর্যাপ্ত থাকলেও চড়া দামের স্যালাইন বিক্রির প্রমাণ পাননি তারা। যদিও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে দাবি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক মো. মহিউদ্দিন।

অভিযান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে আমরা অভিযানে এসেছি। বেশ কয়েকটি দোকানে স্যালাইনের মজুদ ও দাম যাচাই করেছি। স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। নির্ধারিত মূল্যে স্যালাইন বিক্রি করা হচ্ছে।  

চড়া দামে স্যালাইন বিক্রি নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, স্যালাইন বিক্রিতে অনিয়ম নেই সেটা বলা যাবে না। বিক্রেতারা গ্রাহকদের বিক্রয় রশিদ দেন না। ফলে প্রকৃতপক্ষে কত দামে স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে তা জানা যাচ্ছে না। বিক্রাতাদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। যদি তা করা না হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অভিযান চালিয়েছি। এতে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি। তবে ক্রেতাদের রশিদ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম সুলতানুল আরেফীনও উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, তিন প্রতিষ্ঠানে নিষ্ফল অভিযান হলেও ক্রেতারা বলছেন, মোবাইল কোর্টের অভিযান শুরু হলেই দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায়।  

স্যালাইন কিনতে আসা ফাহিম নামে এক রোগর স্বজন বাংলানিউজকে বলেন, গতকালও কয়েকটি দোকানে ডিএনএস স্যালাইন খুঁজেছি কিন্তু পাওয়া যায়নি। পরে একটি দোকান থেকে ১০০ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। আজ আপনারা আসার পর এখন দোকানগুলোতে খোঁজ করলাম। এখন সব দোকানে স্যালাইনটি পাওয়া যাচ্ছে এবং পণ্যের গায়ে নির্ধারিত মূল্যে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
এমআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।