চট্টগ্রাম: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে ফার্নিচার কর্মী মো.ফারুক হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি বায়েজিদ বোস্তামি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল নবী লেদুকে নগরের খুলশী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
আবদুল নবী লেদু (৫০) বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে।
র্যাব জানিয়েছেন, গত ১৬ জুলাই দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের পাঁচলাইশ মডেল থানার মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের বিপরীত পাশে জুমাইরা বিল্ডিং এর সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার ওপর আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি বোমা বিস্ফোরণসহ দা-কিরিচ, লোহার রড, চাপাতি দিয়ে আঘাত, শর্টগান এবং পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে বহু ছাত্র জনতাকে আহত করে।
এ সময় ফার্নিচারকর্মী মো. ফারুক তার কর্মস্থল থেকে বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় মুরাদপুর পৌঁছালে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিতে বুকে, পেটে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তার পিতা মো.দুলাল বাদি হয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানায় ২৬৯ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০ ধেকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম জানান, পাঁচলাইশ থানার মো.ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আসামি আবদুল নবী লেদু গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় অবস্থান করার খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লেদু মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নগরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।
তিনি আরও জানান, লেদুর বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২৪
এমআই/টিসি