চট্টগ্রাম: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবনের সর্বক্ষেত্রে সফল একজন মানুষ ছিলেন। শহীদ জিয়া ছিলেন একাধারে স্বাধীনতার ঘোষক, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সফল রাষ্ট্রনায়ক ও একজন সফল রাজনীতিবিদ।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে নগরের বিপ্লব উদ্যান চত্বরে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চট্টগ্রাম-১০ নির্বাচনী এলাকা বিএনপির উদ্যোগে ও তরুণ রাজনীতিক সাঈদ আল নোমানের পৃষ্টপোষকতায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম শিক্ষা বৃত্তি-২০২৫ বিতরণ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ৭১ সালে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ও নেতৃত্বশুন্যতার কারণে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দিক নির্দেশনাহীন জাতিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বসে থাকেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই বিপ্লব উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এখানে বসেই তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবং এখান থেকেই বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন।
তিনি বলেন, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে নির্বাচন প্রলম্বিত করা ঠিক হবে না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং নির্বাচিত সরকারই সর্বক্ষেত্রে সংস্কার সাধন করবে।
অতি জরুরি সংস্কার দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে পরাজিত শক্তি প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতায় নতুন করে ষড়যন্ত্রের বিস্তার ঘটাবে। ভারতীয় আগ্রাসন ও সীমান্তে হত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃশ্যমান জোড়ালো প্রতিবাদ করা উচিত।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেলের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা তোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের পৃষ্টপোষক তরুণ রাজনীতিক ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান তূর্য্য। আলোচক ছিলেন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা কাউন্সিলর শামসুল আলম, এম এ সবুর, নুরুল আমিন, জসীম উদ্দীন জিয়া, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, জেলী চৌধুরী ও স ম জামাল প্রমুখ।
প্রধান বক্তা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, শহীদ জিয়া একদলীয় বাকশালের পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম হতো না। শহীদ জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচি প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করেছেন।
আলোচনা সভা শেষে সাঈদ আল নোমানের পৃষ্টপোষকতায় ১৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রীর হাতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম শিক্ষা বৃত্তি-২০২৫ এর নগদ প্রায় ৬ লাখ টাকা ও সনদ বিতরণ করেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
পিডি/টিসি