ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ রজব ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড চালু, সেরা ৪ গবেষক পেলেন পুরস্কার 

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
চবিতে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড চালু, সেরা ৪ গবেষক পেলেন পুরস্কার 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) চালু হয়েছে বেস্ট রিসার্চ আর্টিকেল অ্যাওয়ার্ড। প্রথমবারেই এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন ৪ জন শিক্ষক।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও আন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফুয়াদ হাসান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফয়সাল ইসলাম চৌধুরী ও ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোরশেদুল হক।

তাঁদের সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রদান অতিথি চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং উক্ত দপ্তরের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।  

চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একাডেমিক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকদের মূল কাজ হচ্ছে পাঠদান ও গবেষণা। এখানে রাজনীতির ফ্লেভার যদি বেশি হয় এবং অ্যাকাডেমিক ফ্লেভার যদি কম হয়, তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হবে। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন অ্যাকাডেমিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তথা সামগ্রিক সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। এটা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার জন্য অত্যন্ত আনন্দের।  

উপাচার্য আরও বলেন, শুধু প্রমোশনের জন্য গবেষণা করবেন না, গবেষণার মাধমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে দেশ-জাতির কল্যাণে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে গবেষণা করবেন। সংখ্যায় কম হলেও গবেষণার মান ঠিক রেখে এমন একটি তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণা করবেন- যে গবেষণার মাধ্যমে সারাবিশ্বকে নাড়া দিতে পারেন। উপাচার্য বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জানান দিতে শিক্ষক গবেষকদেরকে বেশি বেশি গবেষণা করার এবং তাদের গবেষণাকর্ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপলোড করার আহ্বান জানান।           

চবি উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, জ্ঞান সৃষ্টি করা এবং সৃষ্টিকৃত জ্ঞান বিতরণ করাই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ। এ কাজ যদি করতে না পারেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য ব্যর্থ হবে।  

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসন বিভিন্ন বিষয়ে বিগত সময়ের ইউজিসির অডিট আপত্তির দিকে দৃষ্টি রেখে প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে।  
উপ-উপাচার্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে প্রতিটি বিভাগ ও ইনিস্টিটিউটে বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বকে পরিবর্তন করতে চাইলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তিনি গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহ দিতে, গবেষণা নীতিমালা প্রণয়ন ও এতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করায় উপাচার্যসহ সিন্ডিকেটের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

উপ-উপাচার্য শিক্ষক-গবেষকদেরকে বেশি বেশি গবেষণা প্রবন্ধ বা প্রজেক্ট জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি শিক্ষকদেরকে শুধু অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ না থেকে দেশ-জাতির কল্যাণে অবদান রাখতে পারে এমন গবেষণা করার আহ্বান জানান।   

এদিন চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের উদ্যোগে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দুই দিনব্যাপী (২৯-৩০ জানুয়ারি) রিসার্চ কর্মশালা শুরু হয়। গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খাদিজা মিতু, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চবি রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। কর্মশালায় চবির প্রায় ৮০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
এমএ/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।