চট্টগ্রাম: ২ হাজার ৮০০ সিঅ্যান্ডএফ সদস্যের চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে সমমনা পরিষদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না দিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিষদের সমন্বয়ক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটায় নগরের আগ্রাবাদে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ৫০ বছরের একটি প্রতিষ্ঠান। যার কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় শতভাগ গণতন্ত্রের ব্যবহার সারা দেশে প্রশংসিত।
গত ২৭ জানুয়ারি অনুরূপ ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাঁরা গতকাল ২৯ ও আজ ৩০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র সংগ্রহের জন্য সময় পুনঃনির্ধারণ করলেও পরিস্থিতির কোনোরূপ পরিবর্তন হয়নি। সমমনা পরিষদ নির্বাচনমুখী, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী একটি সংগঠন যার নেতৃবৃন্দ প্রায় ২ হাজার ৮০০ নিবন্ধিত সদস্যের ভোটে ও আস্থায় বার বার বিজয়ী। আজ সমমনা পরিষদকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে অ্যাসোসিয়েশনের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ভূলুণ্ঠিত করে দীর্ঘ ৫ দশক ধরে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের তিল তিল শ্রমে গড়ে ওঠা সদস্যদের কল্যাণের জন্য নিবেদিত প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করে দেওয়ার সাজানো নীলনকশা বাস্তবায়নের এ অপপ্রয়াসের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাই।
অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির ২৯টি পদের বিপরীতে কেবল ২৯টি মনোনয়নপত্র দাখিলের লক্ষ্যে সদস্যদের মনোনয়নপত্র পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে নিজেদের জিম্মায় রেখে দেন বলে জানান তিনি।
কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বাধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না করার এই হীন অপচেষ্টা বৈষম্যবিরোধী নব বাংলাদেশের অভ্যুদয়কালে বৈষম্য প্রতিষ্ঠিত করার অপপ্রয়াসের শামিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের অস্বাভাবিক নীরবতায় এই ধরনের ঘটনা নির্বিঘ্নে ঘটতে দেওয়ায় সাধারণ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তথা ব্যবসায়ী সমাজ আজ আতঙ্কিত। সদস্যদের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ করার এই ধারাকে ব্যবসায়ী সমাজের জন্য অশনিসংকেত এবং এটি সদস্যদের জীবন জীবিকা পেশাগত মর্যাদার সাথে সাংঘর্ষিক।
গুটিকয়েক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের পেশিশক্তি প্রদর্শনীর স্বৈরাচারী অবস্থার অবসান ঘটিয়ে অবিলম্বে নির্বাচনের পরিবেশ সুনিশ্চিত করার জন্য পরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন, শ্রম অধিদপ্তর ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান তিনি।
সমমনা পরিষদের সদস্যদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও শান্তিপূর্ণ, নিরুপদ্রব, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ, প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে তিনি একতরফা নির্বাচনের এই প্রহসন প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবি জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমমনা পরিষদের উপদেষ্টা এমএ সাত্তার, আবদুল গণি, এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন, মিচ্ছু সাহা, ফয়েজুল্লাহ মজুমদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি
