ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বহুরূপী প্রতারক সাহেদ ফের গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
বহুরূপী প্রতারক সাহেদ ফের গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম: নৌবাহিনীর সাব-লেফটেন্যান্ট পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করা নুর মোহাম্মদ প্রকাশ সাহেদকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে নগরের হালিশহর থানা পুলিশ। এবারও তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

 নুর মোহাম্মদ সাহেদ, ফেনী জেলার শর্শাদি ইউনিয়নের মোহাম্মদ নুর নবীর ছেলে।

গত ৩০ জানুয়ারি মাহমুদা আক্তার নামে এক ভুক্তোভোগীর দায়ের করা হালিশহর থানায় মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, আমার ভাতিজা মো. রেজাউল হক শিশিরের সাথে ব্যবসায়ীকভাবে পরিচয় হয় সাহেদের।

পরে সাহেদ তার কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে চিনি, ডাল, সয়াবিন তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয়ের প্রস্তাব দেয় শিশিরকে। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল সাহেদের ইউসিবি ব্যাংক একাউন্টে ১২ লাখ টাকা এবং নগদে ১ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ১৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু টাকা দেয়ার পর আর মালামাল না দিয়ে নানান টালবাহানা শুরু করে সাহেদ। সর্বশেষ গত ২০ জানুয়ারি টাকার জন্য দুরন্ত সাপ্লাইয়ার প্রতিষ্ঠানে হাজির হয়ে টাকা পরিশোধ করতে চাইলেও তা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।

মামলায় সাহেদকে পেশাদার প্রতারক উল্লেখ করে আরও বলা হয়, মো. আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা, সাদ্দাম হোসেনের কাছ থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, তানজিফুল আলমের কাছ থেকে ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকাসহ আরও বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।  

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপার্দ করা হলে  তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

কারাগারে থাকায় এসব অভিযোগের বিষয়ে নুর মোহাম্মদ সাহেদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১২ আগস্ট নগরের হালিশহর থানার গোলন্দাজ সড়কে আর্টিলারির সামনে তার বাসা আহসান মঞ্জিলের চতুর্থ তলায় অভিযান চালিয়ে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে নগরের খুলশী থানা পুলিশ। ওইসময় তার কাছ থেকে নৌবাহিনীর ইউনিফর্ম, ক্যাপ, বেল্ট, জুতা, নেমপ্লেট, র‌্যাঙ্ক বেজ, রেড বেজ এবং ব্যাংকের কয়েকটি চেক ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে তিনি আবার ‘প্রতারণা’ শুরু করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  

এর আগে ২০২১ সালের ২৫ জুন আরেক মামলায় ইপিজেডের বন্দরটিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ইপিজেড থানা পুলিশ। ওই মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া নগরীর হালিশহর থানায় ২০২৩ সালের ৩০ মে প্রতারণার অভিযোগে আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি। ওই মামলাতেও অভিযুক্ত করা হয় তাকে।  

 বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।