ঢাকা, সোমবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কালুরঘাট সেতু পারাপারে ভোগান্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
কালুরঘাট সেতু পারাপারে ভোগান্তি ...

চট্টগ্রাম: নিয়ম অনুযায়ী এক পাশে যখন গাড়ি ছাড়বে অন্য পাশের গাড়ি তখন দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু কালুরঘাট সেতুতে এ নিয়ম মানা হচ্ছে না।

নিয়ম না মেনে অপর পাশ থেকে গাড়ি সেতুতে উঠে পড়ছে। ফলে সেতুর মাঝে লেগে যায় যানজট।
 

অথচ একমুখী সিঙ্গেল লাইনের সেতু দিয়ে একপাশের গাড়ি পার হওয়ার পর অপর পাশের গাড়ি পার হতে পারে। দুই পাশের গাড়ি একসাথে উঠে গেলে সেতুতে গাড়ি ঘোরানোর সুযোগ নেই। পেছনেও লাইন পড়ে যায় গাড়ির। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নাকাল হতে হয় চালক ও যাত্রীদের। এরমধ্যে আবার টোল আদায় কার্যক্রমে আছে ধীরগতি।  

প্রায় প্রতিদিন কালুরঘাট সেতুতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। বিঘ্নিত হচ্ছে ট্রেন চলাচল। যানজটের মধ্যে প্রতিদিন পারাপার করছে সিএনজিচালিত টেম্পো, ট্যাক্সি, কার, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, পিক আপ ও মোটরসাইকেল। এছাড়া এ সেতু দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারগামী যাত্রীবাহি ট্রেন এবং দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টে ফার্নেস অয়েলবাহী ওয়াগণ ট্রেন চলাচল করে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, একপাশের গাড়ি পারাপারের সময় অপর পাশ থেকেও গাড়ি উঠে পড়ছে সেতুতে। শতশত গাড়ি পেছনে নিয়ে গিয়ে যানজট ছাড়াতে হচ্ছে। এ সময় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনকেও অপেক্ষা করতে দেখা যায়।  

যানজটের জন্য সেতুর দুইপ্রান্তের রেলওয়ের গেইটম্যানদের অবহেলাকেও দায়ী করেন চালকরা। গেইটম্যানরা জানান, মোটরসাইকেল চালকদের সিগন্যাল দিলেও মানে না। সংস্কারের পর সেতু দিয়ে বড় আকারের ও ভারী যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দিয়েছে রেলওয়ে। ফলে বাইক চালকরা বিপরীতমুখী গাড়ি আসলেও সেতুতে উঠে পড়েন। এতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

টোল আদায়ে নিয়োজিত জসিম উদ্দিন জানান, সেতু পারাপারে সিগন্যালের দায়িত্বে রয়েছেন রেলওয়ে গেইটম্যানরা। বেপরোয়া চালকরা নিয়ম না মেনেই সেতুতে উঠে পড়লে মাঝে মধ্যে যানজট সৃষ্টি হয়।

কর্ণফুলী নদীর ওপর বৃটিশ আমলে নির্মিত কালুরঘাট সেতুটি ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা বাড়াতে সংস্কার করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১ আগস্ট এ সংস্কার কাজ শুরু হয়েছিল। কাজ শেষ হলে গত বছরের নভেম্বর মাসে যানবাহন পারাপার শুরু হয় এবং চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে যানবাহন পারাপারে টোল আদায় করা হচ্ছে। সেতু পারাপারে মোটরসাইকেল থেকে টোল আদায় বন্ধে ছাত্র জনতা ও মোটরসাইকেল চালকরা আন্দোলন করেন। ফলে মোটরসাইকেল থেকে টোল নিচ্ছে না ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মাওয়া এন্টারপ্রাইজ।  

ট্রাক চালক মশিউর রহমান বলেন, সেতু দিয়ে এক পাশের গাড়ি পার হওয়ার সময় অপর পাশে গাড়ির লাইন পড়ে যায়। অনেক সময় তাড়া থাকায় সেতুর বিপরীত দিক থেকে গাড়ি আসলেও চলে যেতে হয়। এরমধ্যে আবার মোটরসাইকেল আরোহীরা নিয়মের তোয়াক্কা করে না। যার কারণে যানজটে পড়তে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫ 
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।