ঢাকা, বুধবার, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাগরিক সুবিধার দাবি উড়িরচরবাসীর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
নাগরিক সুবিধার দাবি উড়িরচরবাসীর উড়িরচরবাসীর মানববন্ধন।

চট্টগ্রাম: সন্দ্বীপ উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উড়িরচরের নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ নাগরিক সুবিধার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চরবাসী।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় বাংলাবাজার জিরো পয়েন্ট মোড়ে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রখর রোদ উপেক্ষা করে স্থানীয় বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষ উপস্থিত হয়ে বৈষম্য ও জবরদখলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন।  

মানববন্ধনে উড়ির চরের সীমানা জটিলতা দ্রুত নিরসন, উড়িরচর কোম্পানিগঞ্জ ক্রসড্যাম দ্রুত বাস্তবায়ন, সন্ত্রাস নির্মূলসহ বিভিন্ন স্লোগানের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উড়িরচরে বসতি স্থাপনের অর্ধশত বছর পূর্ণ হতে চললেও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেখানে কোনো নাগরিক ও জনসুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি। উল্টো বাসিন্দাদের অসহায়ত্বের সুযোগে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে দস্যুতা ও জবরদখলের সংস্কৃতি।

ইউনিয়নের মধ্যভাগে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার সীমারেখা নির্ধারণকে কল্পিত ও নিয়ম নীতির চরম উপেক্ষা বলে মনে করছেন তাঁরা। উড়িরচরের বাসিন্দাদের দাবি, উড়িরচরকে দুই জেলায় বিভক্তি এখানকার জনসাধারণ মেনে নেবে না। অবিলম্বে একতরফা সীমানা নির্ধারণ বাতিল করতে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানান তাঁরা।  

মানববন্ধনে তাঁরা শিক্ষার পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, এই ইউনিয়নে এখনও পর্যন্ত কোনো এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। কোনো কলেজ নেই। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাবে অনেকেরই শিক্ষাজীবন মাধ্যমিকেই থেমে যায়। স্বাস্থ্যের নাজুক পরিস্থিতি তুলে ধরে অন্তত ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের।  আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একটি পু্লিশ ফাঁড়ি থাকলেও তা তেমন কোনো কাজে আসে না। একটি জিডি করা যায় না। ফাঁড়ির কোনো স্থায়ী ভবনও নেই।  

বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, গণমাধ্যমকর্মী নুর নবী রবিন, উড়িরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাসান, সোলাইমানীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার বেলায়েত হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা মিলাদ দ্বীপরাজ, নজরুল ইসলাম সোহেল, মাইন উদ্দীন খাঁন ফুলমিয়া, শরীফ হোসাইন অনিক, কামরুল হাসান, হাবিব বিডি, নাজিম উদ্দীন, মাফিয়া ময়না, মো. দিদার, মো. দিলদার, হাফেজ মাইনউদ্দীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।