চট্টগ্রাম: সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়া কেউ রাস্তা খুঁড়লে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এই উন্নয়ন হচ্ছে—এটি যেন অপচয় না হয়, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। যানজট নিরসন, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) নগরের ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে চৌচালা ও টিজি রোডের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, চৌচালা রোডে ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।
মেয়র বলেন, ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে সঠিক পরিকল্পনা করে আমরা কাজ বাস্তবায়ন করছি। এর ফলে আল্লাহর রহমতে এই বছর এই ওয়ার্ডে কোনো জলাবদ্ধতা হয়নি। ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার কাজ শেষ হয়েছে এবং ২৪ কোটি ২২ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৪৩ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ এ ওয়ার্ডে সম্পন্ন ও চলমান রয়েছে। উন্নয়নকাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতির কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। ঠিকাদাররা যেন মানসম্মত ইট, বালু ও সিমেন্ট ব্যবহার করেন, তা নিশ্চিতে এলাকাবাসীরও ভূমিকা প্রয়োজন। এই রাস্তা আপনাদের, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও টেকসই করে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মোহাইমিনুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদ, হানিফ সওদাগর প্রমুখ।
এর আগে টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নাগরিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে। একসময় মেমন মাতৃসদনের স্বাস্থ্যসেবার গৌরব ছিল। সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। চসিকের স্বাস্থ্য খাতকে আরও কার্যকর ও আধুনিক করতে নতুন চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, জরায়ুমুখ ক্যান্সারের প্রতিরোধে এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রদানসহ টিকাদান কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এই কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা প্রমুখ।
এআর/টিসি