ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সহিংসতা এড়াতে দিনে যাত্রী, রাতে পণ্য নেয়ার প্রস্তাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫
সহিংসতা এড়াতে দিনে যাত্রী, রাতে পণ্য নেয়ার প্রস্তাব ছবি: (ফাইল ফটো)

চট্টগ্রাম: অবরোধে সহিংসতা এড়াতে মহাসড়কে দিনে যাত্রীবাহী গাড়ি এবং রাতে পণ্যবাহী গাড়ি বেশি চালানোর প্রস্তাব দিয়েছেন যানবাহন মালিক-শ্রমিকরা। তাদের এ প্রস্তাবে সায় দিয়েছে পুলিশও।



সোমবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি একেএম শফিকুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এসময় ডিআইজি বলেন, ‘আপনাদের যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবে আপনারা গাড়ি চালাবেন।
নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দেখব। ’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি একেএম শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পরিবহন মালিকরা বলেছেন, রাতের বেলা কুয়াশা থাকে। কে কোনদিন থেকে এসে গাড়িতে আগুন দিয়ে চলে যায় তারা সেই ভয়ে থাকেন। সেজন্য তারা দিনের বেলায় যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়ে রাতে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চালাতে চান। তাদের প্রস্তাবে পুলিশেরও সুবিধা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত যেসব স্পটে নাশকতার ঘটনা ঘটেছিল সেগুলো চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানান পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

জবাবে ডিআইজি বলেন, আমাদের তালিকা প্রস্তুত আছে। নিরাপত্তায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবি। সিএমপি, ডিআইজি চট্টগ্রাম রেঞ্জ এবং জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নিরাপত্তার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করা হবে।

সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক গাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়েছিল। অনেক শ্রমিক শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন।

তারা বলেন, ওই সময় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি মালিক-শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়ি মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য বেশ কিছু টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা চট্টগ্রামের কোনো গাড়ি মালিক-শ্রমিক পাননি।

জবাবে ডিআইজি জানান, ক্ষতিপূরণ না পাবার বিষয়টি তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে অবহিত করবেন। আর কোন গাড়ি যাতে নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে তিনি খেয়াল রাখবেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার, বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান ট্রাক ও পণ্য পরিবহন সমিতির মহাসচিব আবু মোজাফফর, পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।