ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান

গয়েশ্বর রায় জাতির কুলাঙ্গার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
গয়েশ্বর রায় জাতির কুলাঙ্গার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়কে জাতির কুলাঙ্গার বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিজয়মঞ্চে রোববার সন্ধ্যায় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।



মন্ত্রী বলেন, জাতির কুলাঙ্গার না হলে সে কীভাবে বলে, বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মরেছে। বিজয়ের মাসে তার মন্তব্য দুঃখজনক।
  

শাজাহান খান বলেন, একাত্তরে নয় মাস খালেদা জিয়া পাকহানাদারের আতিথেয়তায় ছিলেন, তিনি কীভাবে বুঝবেন মুক্তিযুদ্ধ। খালেদা জিয়ার চোখে ছানি পড়েছিল। তিনি এত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন চোখে দেখেননি। সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে চোখের ছানি অপারেশন করিয়ে এসেছেন। তাই আর উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন না। বিএনপির মূলনীতি ভণ্ডামি আর দুর্নীতি। খালেদা জিয়ার দুই নীতি, ভণ্ডামি আর দুর্নীতি।

শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পাকহানাদার বাহিনীর হাতে রাজকার, আলবদর, আল শামসরা আমাদের মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল। কত মা-বোনকে স্বামীর সামনে, ছেলে সামনে ধর্ষণ করা হয়েছে। অথচ খালেদা আজ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের স্বমূলে নিঃশেষ করতে হবে। জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে আইন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দীন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বশর কমান্ডার, সাংবাদিক অঞ্জন রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোনাফ, কাজল দে ও সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী।

সাত দিনব্যাপী বিজয় মেলার দ্বিতীয় দিনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল করিম বাবুল। পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শহীদুল আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিক আবুল ফজল বাবুলের পরিচালনায় দিশারি খেলাঘরের শিশু-কিশোরদের মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দর্শকদের মাতিয়ে রাখে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।