ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৈশাখী টেলিভিশনের যুগপূর্তিতে বর্ণিল আয়োজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
বৈশাখী টেলিভিশনের যুগপূর্তিতে বর্ণিল আয়োজন অতিথিরা কেক তুলে দেন বৈশাখী টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মহসিন চৌধুরীর মুখে

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের অঙ্গীকার’ স্লোগানে বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রামে উদযাপিত হলো বৈশাখী টেলিভিশনের এক যুগপূর্তি। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের মিলনমেলা।

চট্টগ্রাম: ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই আমাদের অঙ্গীকার’ স্লোগানে বর্ণিল আয়োজনে চট্টগ্রামে উদযাপিত হলো বৈশাখী টেলিভিশনের এক যুগপূর্তি। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের মিলনমেলা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক যুগপূর্তি অনেক বড় অর্জন।

এ টেলিভিশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রসারে যেমন ভূমিকা রেখেছে তেমনি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায়ও।

আগামী দিনে আরও বেশি ইতিহাস-ঐতিহ্য নির্ভর প্রতিবেদন, অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। তিনি কেক কেটে যুগপূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অঙ্গীকার নিয়ে এক যুগ আগে যাত্রা শুরু করেছিল বৈশাখী টেলিভিশন। এ টেলিভিশনের পর্দায় চট্টগ্রামে একঝাঁক তরুণ এ জনপদের সমস্যা, সম্ভাবনা তুলে ধরছেন প্রতিনিয়ত। আগামী দিনে এ প্রয়াস আরও জোরালো হবে আশাকরি।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি শহীদ উল আলম বলেন, বৈশাখী টেলিভিশন স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের কথা বলে। আমি টেলিভিশন চ্যানেলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই।

বৈশাখী টেলিভিশনের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার প্রমুখ।

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমে আমরা চাঁটগার শুঁটকির গন্ধ পেতে চাই। যদিও টেলিভিশনে বাস্তবিক অর্থে গন্ধ পাওয়া যাবে না। আমরা চাই চট্টলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস, সমস্যা ও সম্ভাবনা গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হোক। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের প্রতি যে আঞ্চলিক বৈষম্য তা থেকে মুক্তির জন্য বৈশাখী টেলিভিশন কাজ করবে আশা করি।

বৈশাখী পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম মিনহাজুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল কাদের, এক্স-কাউন্সিলর ফোরামের সদস্যসচিব মুহাম্মদ জামাল হোসেন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম প্রমুখ।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ  বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সিইউজের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সাবেক অর্থ সম্পাদক শুকলাল দাশ, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাজিব প্রমুখ।

কেক কাটা পর্ব শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান করেন জনপ্রিয় শিল্পী ফাহমিদা রহমান, হুমাইরা রাইসা, পাপড়ি ভট্টাচার্য, জুয়েল পাল, দেবাশীষ প্রমুখ।       

বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬

এআর/টিসি          

                                

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।