নগরের ছয়টি ও জেলার ১০টিসহ মোট ১৬টি নির্বাচনী এলাকায় একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে প্রথমবারের মত ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ আসনে ১৪৪টি কেন্দ্রের ৯২০টি ভোট কক্ষের প্রতিটিতে একটি করে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোটগ্রহণ তদারকি করতে সেনাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের চারটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও একটি উচ্চ পর্যায়ের কারিগরি দল কাজ করছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটভুক্ত বিভিন্ন দল, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন দল, সিপিবি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ইসলামী ফ্রন্ট ও স্বতন্ত্র মিলে ১১৫ জন প্রার্থী চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের তালিকা অনুযায়ী, চট্টগ্রামে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৯ লাখ ১২ হাজার ৭৫ এবং নারী ভোটার ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৯০ জন। নগরে ৫৯৭টি ভোট কেন্দ্রে ১৯ লক্ষ ২০ হাজার ভোটার রয়েছে।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোববার সকালে কাজীর দেউড়ী মোড়, গুলজার, কোতোয়ালী, জিইসি মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যৌথবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
নগরের কাজীর দেউড়ীর আসকার দীঘির পশ্চিম পাড়ের আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন কেন্দ্রে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোট দিতে।
আসকার দীঘির পশ্চিম পাড়ের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক ও শান্ত। তাই সকাল সকাল ভোট দিতে চলে আসলাম।
লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেছে নারী ভোটারদের লম্বা লাইন। ভোট দিতে উদগ্রীব ছিলেন তারা।
রাবেয়া আকতার নামে এক ভোটার বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনের আগে সংঘাত ও গোলযোগের আশঙ্কায় ছিলাম, ভোট দিতে এসে সেই ভয় কেটে গেছে। সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
জেইউ/এসি/টিসি