তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সাড়ে ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীকে কারাবন্দি করেন। এরমধ্যে সাড়ে ৪০০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদ আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।
আমু বলেন, জিয়া এ দেশেকে নব্য পাকিস্তানে পরিণত করেন। আমাদের সংবিধানে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো সুযোগ না থাকলেও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুন:প্রবর্তক গোলাম আজমকে রাজনীতির সুযোগ দেন। যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সরকার গঠন করেন। মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড লাগিয়ে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে এ দেশকে ফের পাকিস্তানে রূপান্তরের ষড়যন্ত্র করেন।
‘দল ভাঙার রাজনীতি, রাজনীতিকদের চরিত্র হননের মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন জিয়া। এ দেশের ছাত্রসমাজের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া, এক্সিবিশনের নামে জুয়া খেলার প্রচলন, দোকানে দোকানে মদ বিক্রি করে যুবসমাজকে বিপথগামী করার মতো ঘৃণ্য কাজ করেছিলেন তিনি। ’
সাবেক মন্ত্রী আমু বলেন, টানা সামরিক শাসনের পর দেশ যখন ক্রান্তিলগ্নে তখন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় এসেই পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে কাজে নেমে যান তিনি। তবে ঘাতকেরা বসে থাকেনি। দেশকে যতই তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করেন ততই তার প্রাণনাশের চেষ্টা বেড়ে যায়। তাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে দেশের জন্য শেখ হাসিনা কাজ করছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা আছেন বলেই দেশের মানুষ সুখের মুখ দেখছে। গ্রামে গ্রামে কোনো অভাব নেই। একটি গ্রামে ১৩শ’রও বেশি মানুষ বিভিন্ন ভাতা পাচ্ছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সব ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে গেছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এটাই শেখ হাসিনার অবদান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত। খুনিদের স্বীকারোক্তিতে সেটি এখন স্পষ্ট হয়েছে। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এবং পুত্র তারেক রহমানও বাংলাদেশে খুনের রাজনীতি কায়েম করেছিলেন।
তিনি বলেন, খুনের রাজনীতি করে কখনও এগিয়ে যাওয়া যায় না। যে কারণে এতিমদের টাকা মেরে খালেদা জিয়া এখন জেলে অন্যদিকে তারেক জিয়া লন্ডলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সে স্বাধীনতাকে আগলে রাখতে হবে। পৃথিবীতে কোনো জাতি নেই যারা ভাষা এবং স্বাধীনতার জন্য বুকের তাজা রক্ত দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এমআর/টিসি