নগরের বন্দর থানাধীন পোর্ট কলোনি, আমবাগান, রেলওয়ে ট্রেনিং অ্যাকাডেমিসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করে এ চিত্র দেখা গেছে।
দখলে থাকা রেলওয়ের জমি উদ্ধারে সরকারের নির্দেশনা আসার পর গত ৩ অক্টোবর থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
এরপর ৯ অক্টোবর পাহাড়তলীর সেগুনবাগান, ১৭ অক্টোবর সিআরবি’র বয়লিউ অ্যাভেনিউ, ২৮ অক্টোবর রেলওয়ে ট্রেনিং অ্যাকাডেমি, ৩০ অক্টোবর সিআরবি, ৪ নভেম্বর নগরের পাহাড়তলীর সেগুনবাগান ও ৬ নভেম্বর আমবাগানে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ২৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়।
কিন্তু উচ্ছেদ করা জায়গাগুলোতে ফের গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। সম্প্রতি আমবাগান, পোর্ট কলোনি ও রেলওয়ের ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে গিয়ে দেখা গেছে, যেসব স্থানে স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল সেসব স্থানে আবারও গড়ে তোলা হয়েছে বসতঘর, দোকানপাট।
অভিযোগ রয়েছে, রেলের জমি বেদখল হওয়ার পেছনে হাত রয়েছে রেলের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভূ-সম্পত্তি বিভাগ জমি উদ্ধারের পর সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে দেয়াল বা কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করা প্রকৌশল বিভাগের কাজ। কিন্তু রেলের জায়গা নিয়ে রেল ও দখলদারদের মধ্যে লুকোচুরি খেলা চলছে। একদিকে চলছে উচ্ছেদ, অন্যদিকে চলছে দখলের আয়োজন। মূলত, অবৈধ দখলমুক্ত করার পর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ না করায় জমির দখল ধরে রাখতে পারছে না রেলওয়ে। সুযোগ বুঝে ফের জায়গাগুলো দখলে নিয়ে নিচ্ছে এলাকাভিত্তিক প্রভাবশালীরা।
সহকারী কমান্ড্যান্ট (ট্রেনিং সেন্টার) সত্যজিৎ দাশ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যখনই খবর পেয়েছি তখনই অভিযান চালিয়ে দখল হয়ে যাওয়া জায়গা উদ্ধার করেছি। গত দুদিনে পাহাড়তলীর আমবাগান ও বন্দর থানার পোর্ট কলোনি এলাকায় শতাধিক বসতি উচ্ছেদ করেছি। প্রকৌশল বিভাগ কার্যকর ব্যবস্থা নিলে রেলের জায়গা পুনরায় দখলে যেত না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. সুবক্তগীন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অবহেলা করছি- বিষয়টি ঠিক নয়। ইতোমধ্যে কয়েকটি জায়গা দেয়াল ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে সংরক্ষণ করেছি। সব জায়গাতো একেবারে সংরক্ষণ করা যায় না। তবে যখনই বেদখলের খবর পাচ্ছি তখনই নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের পাঠাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি