তিনি বলেছেন, মানুষ অপেক্ষা করছে উম্মুক্ত পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার। গত নির্বাচনে ভোট চুরি করে দিনেরটা রাতে নিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) নগরের পূর্ব ষোলশহরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইভিএম বিষয়ে যারা জ্ঞান রাখেন তারা ইতিমধ্যেই এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইভিএমএ কোন পেপার ট্রেইল নেই। কারণ আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। এবারও তারা ইভিএম মেশিনে ভোট চুরি করে জয়ী হতে চেষ্টা করবে। এ ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সেজন্য নির্বাচনের আগে ইভিএমর স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে হবে। বিএনপির পক্ষ থেকে ইভিএম বাদ দেওয়ার জন্য বার বার বলা হয়েছে। কারণ ইভিএমের কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। দেশে ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভোট আমরা যুগে যুগে দেখেছি। এই সময়ে এসে কেন ইভিএমের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল?
বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে সুষ্ঠু ভোট হবে কি না? গত নির্বাচনে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি এবার মানুষ সে ধরণের ভোট চাই না। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য জনগণ অপেক্ষা করছেন। যেখানেই গণসংযোগে যাচ্ছি সেখানেই মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ধানের শীষের জোয়ার দেখতে পাচ্ছি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম বলেন, এ নির্বাচন আমাদের জন্য আন্দোলনেরই অংশ। নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। তাই নেতাকর্মীদের দৃড় মনোবল নিয়ে আবু সুফিয়ানের ধানের শীষকে জয়ী করে খালেদা জিয়া ও গনতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলন আরো বেগবান করতে হবে।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আপনারা পাহারা দিবেন। ভোট কেন্দ্রে যেন কোন ভোট ডাকাত যেতে না পারে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোন অপশক্তি দাঁড়াতে পারবে না। আবু সুফিয়ান একজন যোগ্য ও মেধাবী নেতা। আপনাদের সেবা করার জন্য তাকে জয়ী করতে হবে।
উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, হারুণ জামান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সহ-সম্পাদক জিএম আইয়ুব খান, মো. বখতেয়ার, মো. ইদ্রিস আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়:১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
জেইউ/টিসি