ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা: ঈদের আগে প্রতিবেদন জমা দিতে চায় কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
জলাবদ্ধতা: ঈদের আগে প্রতিবেদন জমা দিতে চায় কমিটি ফাইল ছবি।

চট্টগ্রাম: সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও ১০ কর্মদিবসেও তা জমা দিতে পারেনি জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত চার সদস্যের কমিটি। প্রতিবেদন তৈরি হলেও এখনও আটকে আছে পরিমার্জন ও সংশোধনের পর্যায়ে।

তবে ঈদের আগে প্রতিবেদন জমা দিতে চায় কমিটি।

যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই)। এ দিন প্রতিবেদন জমা দিতে না পারলে সময় গড়াবে ঈদের পর পর্যন্ত।  

জানা গেছে, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম দাফতরিক কাজে ঢাকায় আছেন এবং জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করা যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, কমিটি গঠনের পরপরই চসিকের ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ও ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বীর মহল খাল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুছ কোম্পানির বাড়ি, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহিদুর পাড়া সংলগ্ন বাঁধের মাটি সরাতে নির্দেশ দেয় কমিটি।  

পাশাপাশি চাক্তাই ডাইভারশন খালের তক্তার পোল এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য দেওয়া খুঁটি অপসারণ, নগরের বাকলিয়ার মাজার গেইট এলাকায় চসিকের ৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগ সড়ক অংশের খালে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক। তাছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়ায় রাজাখালী খালের শাখা কৃষি-১ ও কৃষি-২ অংশের অবৈধ স্থাপনাও অপসারণ এবং মির্জা খাল, রাজাখালী খাল ও গয়না খালের সংযোগস্থলে দেওয়া বাঁধ খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। অন্যদিকে নগরের চন্দনপুরায় নির্মাণাধীন বাকলিয়া সংযোগ সড়কের জন্য চাক্তাই খালের ওপর নির্মিত সেতুর নিচ থেকে মাটি অপসারণ করার কাজ চলছে।

কমিটির সদস্য ও চসিক কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী বাংলানিউজকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকার  কারণে শতভাগ বাঁধ অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গতবারের চেয়ে তিন থেকে চারগুণ বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। সিডিএ, চসিক ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম’ পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা কেবল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছি না। তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা হিসেবে খাল ও নালার পাশে সেকেন্ডারি সড়ক তৈরি, বর্জ্য ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কাজ করছি।

সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী ও কমিটির প্রধান কাজী হাসান বিন শামস বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুধু পরিদর্শন করেছি তা নয়, যেখানে বাঁধ খুলে দেওয়া প্রয়োজন ছিল আমরা তা খুলে দিয়েছি। আমাদের প্রতিবেদন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। সেখানে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি বেশকিছু সুপারিশ করেছি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।