ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট যৌথভাবে প্রার্থী দেবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট যৌথভাবে প্রার্থী দেবে

আগরতলা (ত্রিপুরা): ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে হারাতে এক হয়েছে সবকটি বিরোধী দল। বেশ কিছুদিন ধরে এই বিষয়ে আলোচনা চলছিল, অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচনের জোট হয়ে লড়াই করার ঘোষণা দিল কংগ্রেস ও সিপিআইএম।

দুপুরে রাজধানী আগরতলার কুঞ্জবন এলাকার বিধায়ক আবাসনের সুদীপ রায় বর্মনের সরকারি বাসস্থানে দীর্ঘ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির নেতৃত্ব এবং সিপিআইএমসহ বামফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দল ও রাজ্যের অন্য কয়েকটি বিরোধী দলের নেতাদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ বৈঠক হয়।  

বিকেলে আগরতলা প্রেস ক্লাবে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে বৈঠকে উপস্থিত সবকটি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, সুদীপ রায় বর্মন, সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীসহ শরিক দলগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, ত্রিপুরায় এক কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, নারী নির্যাতন, খুন-ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েছে। অপরাধের ঘটনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ চাইছে সাধারণ মানুষ।  

তিনি বলেন, কঠিন এই পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আমরা যৌথভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত।  

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন, কংগ্রেসের শাসনকাল এবং বামেদের দীর্ঘ শাসনকালেও রাজ্যে খুন সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন সন্ত্রাসের ঘটনা অনেক বেড়েছে।

সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরায় এখন যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা জোট গঠন করেছি। এখানে কোনো দলীয় স্বার্থ নেই। মানুষের সুবিধার জন্য, বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এই জোট। এই জোটে তিপ্রামথা দলও যুক্ত হবে।

তিপ্রামথা দলের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ কিশোর দেব বর্মনও জোট গঠনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন। বর্তমানে প্রদ্যুৎ কিশোর  অন্য রাজ্যে রয়েছেন। তিনি রাজ্যে ফিরে এলে জোটের বিষয় আবারো আলোচনা হবে।  

জিতেন্দ্র চৌধুরী এদিন আসন ভাগাভাগির বিষয়েও কথা বলেন। সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আলোচনা এখনো বাকি রয়েছে। আরও কয়েক দফা বৈঠকের পর আসন ভাগাভাগি হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ২১ জানুয়ারি সবাই মিলে একটি ডেপুটেশনে মিলিত হবো। এই ডেপুটেশন তুলে দেওয়া হবে রাজ্যের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তার কাছে। আগরতলার রবীন্দ্রশতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমের পর ডেপুটেশন দেওয়া হবে। তবে এদিনের এই মিছিলে দলের পতাকা ব্যবহার করা হবে না। উপস্থিত সবার হাতে থাকবে ভারতের জাতীয় পতাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ 
এসসিএন/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।