কলকাতা: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি অবশেষে আইনে পরিণত হয়েছে। নতুন আইনে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা সীমিত করা হয়েছে।
গত বুধবার ওয়াকফ বিলটি নিয়ে সংসদে তুমুল বিতর্ক হয়। লোকসভায় ৫৬ ভোটের ব্যবধানে বিলটি পাস হয়, যেখানে পক্ষে ২৮৮ ভোট এবং বিপক্ষে ২৩২ ভোট পড়ে। পরদিন রাজ্যসভায়ও বিলটি ২৩ ভোটের ব্যবধানে পাস হয়। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলে সই করেন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) কেন্দ্র সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধনী ওয়াকফ আইন প্রকাশ করেছে।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এখন থেকে কোনো জমি ওয়াকফ কিনা, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জেলাশাসক। এছাড়া, ওয়াকফ বোর্ডে এবার অমুসলিম সদস্যেরও থাকা যাবে। বোর্ডের কার্যক্রমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
এদিকে, বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার আগেই বিরোধীরা আদালতে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছে। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (এএপি) এবং মিম দলের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। কেরলের একটি মুসলিম সংগঠনও বিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন আইন ওয়াকফ বোর্ডের একচ্ছত্র ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের অধিকার হরণ করেছে। আগের ওয়াকফ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের হাতে ছিল কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ ঘোষণা করার ক্ষমতা। তবে সংশোধনী আইনে এই ক্ষমতা এখন জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার সরকারি কর্মকর্তার হাতে চলে গেছে। এছাড়া, সরকার সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত বিতর্কিত সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে নয়, সরকারি সম্পত্তি হিসেবে গণ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
ভিএস/এমজে