কলকাতা: তৎকালীন টিক্কা খান বলেছিলে, আমি বাংলাদেশের মানুষ চাই না, এদেশের মাটি চাই। যার ফলাফল ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে শুরু হওয়া গণহত্যা এবং ৩০ লাখ শহীদ।
শনিবার (২৫ মার্চ) গণহত্যার ৫২তম দিবসটি পালন উপলক্ষে উপ-হাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ওপর নির্মিত দুটো তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সম্মেলন কক্ষে ২৫ মার্চ রাতের বীভৎস গণহত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস সব কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
উপ-হাইকমিশনার বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ সমগ্র বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের সরকারি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। যা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের প্রতি জাতির অপরিসীম শ্রদ্ধার স্মারক হিসেবে বিবেচিত হবে। ২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ত্রিশ লাখ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা।
পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ১৯৭১-এ বাংলাদেশের গণহত্যা যাতে বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের এ উদ্যোগ নিশ্চয়ই সফল হবে। একই সঙ্গে উপ-হাইকমিশনার বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরে, বিশ্বে যেকোনো গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা পুণর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন যাথক্রমে শিক্ষা ও ক্রীড়া শাখার প্রধান কাউন্সেলর রিয়াজুল ইসলাম এবং রাজনৈতিক শাখার কাউন্সেলর তুষিতা চাকমা। অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবস নিয়ে আলোচনা করেন দূতালয় প্রধান ও মিনিস্টার সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এবং প্রেস শাখার প্রথম সচিব রঞ্জন সেন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম। সবশেষে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, ২৫ মার্চ, ২০২৩
ভিএস/এসএ