ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জমি বিতর্কে হাইকোর্টের রায়ে সাময়িক স্বস্তি পেলেন অমর্ত্য সেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
জমি বিতর্কে হাইকোর্টের রায়ে সাময়িক স্বস্তি পেলেন অমর্ত্য সেন

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সাময়িক স্বস্তি পেলেন বাঙালি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ৬ মের মধ্যে তার শান্তিনিকেতনের পৈতৃক বাড়ির ১৩ শতক জায়গা খালি করে দেওয়ার কথা বলেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

তবে বৃহস্পতিবার (৪ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দের সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, নিম্ন আদালতে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতীর পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

১০ মে দুপুর ২টায় বীরভূম জেলা আদালতে অমর্ত্য সেনের জমি সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা। অর্থাৎ সেই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জমি খালি করার জন্য বিশ্বভারতী কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না। মূলত, পৈতৃক ভিটার ১৩ শতক জায়গা অমর্ত্য সেন দখল করে রেখেছেন বলে দাবি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের।  

সেই মর্মে গত ১৯ এপ্রিল নোবেলজয়ীকে জমি ছাড়ার নোটিশ ধরিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। প্রতীচীর গেটে আটকে দেওয়া হয়েছিল সেই নোটিশ। তাতে উল্লেখ ছিল, ৬ মের মধ্যে প্রতীচীর ১৩ শতক জায়গা খালি করতে হবে অমর্ত্য সেনকে। না হলে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বল প্রয়োগ করা হবে।

এরপরই সেই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অমর্ত্য সেন। ওই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন তিনি। জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল। ৬৯ পাতার আবেদনে অর্থনীতিবিদ উল্লেখ করেন, শান্তি নিকেতনে এই ১ দশমিক ৩৮ একর জমির ওপর বাড়ি তৈরি করেছিলেন তার বাবা আশুতোষ সেন। ৮০ বছর ধরে সেখানেই বসবাস করছে তার পরিবার। আচমকা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১৩ শতক জায়গা ছাড়ার নোটিশ পান তিনি।

অমর্ত্য সেন আরও দাবি করেছেন, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা আদতে প্রতিহিংসা আর প্ররোচনার ফলমাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতির অবনতির কথা ঢাকতেই তার বিরুদ্ধে এই ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অমর্ত্যর। এক্ষেত্রে অবৈধভাবে দখল করার কথা বলা যাবে না বলেও দাবি করেছেন তিনি। তার দাবি, লিজের মেয়াদ শেষ হয়নি এখনও। তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন (৪ মে) হাইকোর্টে শুনানি হয়। বিচারপতি বিভাস রঞ্জন দের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আগামী ১০ মে নিম্ন আদালতে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বভারতীর পক্ষে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে  ৪, ২০২৩
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।