ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নোম্যান্স ল্যান্ডের মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত

মনজুর আহমেদ বড়ভূঁইয়া, আসাম সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৬ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১২
নোম্যান্স ল্যান্ডের মানুষদের সরিয়ে নিচ্ছে ভারত

শিলচর: বাংলাদেশ ও আসাম সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডের ভেতর কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে বাড়িঘর পড়ে যাওয়া ১৭৮ পরিবারকে অন্য স্থানে সরিয়ে দিচ্ছে ভারত সরকার। তাদের বসতভিটার জন্য নোম্যান্স ল্যান্ডের বাইরে জমি দিয়ে পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।



প্রথম দফায় কাছাড়া জেলায় এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা ভূমি কমিটি বৈঠক করে পরিবারগুলোর নামও চূড়ান্ত করেছে।

বাংলাদেশের সিলেট জেলার সীমান্তে আসামের কাছাড় জেলার কাটিগড়া এলাকায় এসব পরিবারের জন্য নোম্যান্স ল্যান্ডের বাইরে ৮৯ বিঘা জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।

আসামের কাছাড় জেলার প্রশাসক হেমন্দ্র কুমার দেব মহন্ত বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আসামের বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ ও কাছাড় জেলার ১২৪ কিলোমিটার সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে ১৭টি গ্রামের ৩৪৩টি পরিবারের বাস। এসব পরিবারের সদস্য সংখ্যা দুই হাজার ৬২৫ জন।

এদের মধ্যে কাছাড় জেলায় বসবাস করেন ১৮৭ পরিবারের এক হাজার ৪৬৫ জন। কাছাড় জেলায় ৩২ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক হেমন্দ্র কুমার দেব মহন্ত জানান, কাছাড় জেলার ১৭৮ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে। গত সোমবার এদের জমি দেওয়ার বৈঠক হয়। খুব শিগগির জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

করিমগঞ্জ জেলায় ৯২ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এ জেলায় ১৫৬ পরিবারের এক হাজার ১৬১ জন নোম্যান্স ল্যান্ডের কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে বসবাস করছেন।

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কারণে কাটিগড়া এলাকার এই মানুষগুলোর বিপদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। কারণ এদের বাড়িঘর পড়েছে কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে। সন্ধ্যায় কাঁটাতারের গেট লাগানোর পর এদের জীবন অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।

জরুরি চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় কোনো কাজে এরা নিজ দেশ ভারতেও যেতে পারে না, আবার বাংলাদেশও তো এদের কাছে বিদেশ!

দীর্ঘদিন ধরে এসব মানুষ নানাভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে আসছেন। আসামসহ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা বেশ কয়েক দফা স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১২
একেআর/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।