ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লি যেতে হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লি যেতে হচ্ছে

কলকাতা: দিল্লিতে শুরু হচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ৯-১০ সেপ্টেম্বর উপস্থিত থাকবেন জি-২০ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা।

জি-২০ সম্মেলনে ভারত আয়োজক দেশের মর্যাদা পাওয়ায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সম্মান জানাতে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

নৈশভোজ ভারতের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সঙ্গে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির সংঘাত থাকলেও অন্তত এ বিষয়ে দেখা যাচ্ছে, দেশের মর্যাদার স্বার্থে সবাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠেই আচরণ করছেন। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তো বটেই, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারসহ সবাই উপস্থিত থাকবেন ওই নৈশভোজে।

নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তিনিও থাকছেন। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নের পক্ষে প্রথমে জানা গিয়েছিল শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়ে রোববার দুপুরে আবার কলকাতায় ফিরবেন আসবেন মমতা।

কিন্তু, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মোদি সরকার এতটাই আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে যে, শনিবার দিল্লি বিমানবন্দর থেকে বিমান ওঠানামা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করা হবে। জানা যাচ্ছে, প্রয়োজন ছাড়া কোনও বিমানকে দিল্লিতে অবতরণ করতে দেওয়া হবে না।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার নৈশভোজের অনুষ্ঠানের জন্য শুক্রবার দিল্লিতে পৌঁছে যেতে হচ্ছে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। শেষ বেলায় শিডিউল পরিবর্তন হলেও নৈশভোজ বাতিল করছেন না মমতাও। এই নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে তিস্তা চুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে দুই নেত্রীর কোনো আলাপ হয় কি না, সেদিকেও চোখ থাকবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গবাসীর।

জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তার কারণে কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি মোদি সরকারের কোনো মন্ত্রীও নিজের গাড়ি বা সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে সম্মেলনস্থলে যেতে পারবেন না। তাদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করবেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তারাই দিল্লির বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীদের বাসভবন, অফিস কিংবা হোটেল থেকে তুলে নিয়ে যাবেন।  

সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, দিল্লির নিরাপত্তা বরাবরই স্পর্শকাতর। এই দিল্লিতে সংসদে হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া এত বড় সম্মেলন ভেস্তে দিতে নাশকতার চেষ্টাও হতে পারে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে নিরাপত্তার স্বার্থেই এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
ভিএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।