ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরার বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের জীবনাবসান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
ত্রিপুরার বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের জীবনাবসান

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার বিজেপি দলীয় বিধায়ক এবং রাজ্য সরকারের সাবেক মন্ত্রী সুরজিৎ দত্তের জীবনাবসান ঘটেছে। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন সুরজিৎ। তার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আগরতলা থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সব চেষ্টার পরও তাকে বাঁচানো যায়নি। তিনি পরিবার-পরিজনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে উড়োজাহাজে করে আগরতলায় এসে পৌঁছায় এ বিধায়কের কফিনবন্দী মরদেহ। আগে থেকেই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারসহ সহকর্মী-শুভানুধ্যায়ীরা। মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়-পরিজন।  

পরে মিছিল করে তার মরদেহ প্রথমে বিধানসভা ভবনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু, মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, মন্ত্রী রতন লাল নাথ, বিধানসভার স্পিকার বিশ্ব বন্ধু সেন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, বিরোধী দল নেতা অনিমেষ দেববর্মাসহ উপস্থিত অন্যান্য মন্ত্রী-বিধায়করা ফুল দিয়ে সুরজিৎ দত্তকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।  

তারপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর এলাকার রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে। সেখানে দলীয় পতাকা দিয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যসহ অন্যরা।

বিজেপি কার্যালয় থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় রামনগর এলাকায় অবস্থিত তার বাসভবনে। সেখানেও শেষ শ্রদ্ধা জানান দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।  

সবশেষে সুরজিতের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বটতলা মহাশ্মশানে। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে প্রয়াত বিধায়ককে গান স্যালুট জানানো হয়। এরপর তার মরদেহের সৎকার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
এসসিএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।