ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মিয়ানমার থেকে ভারত দিয়ে অস্ত্র আসছিল বাংলাদেশে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
মিয়ানমার থেকে ভারত দিয়ে অস্ত্র আসছিল বাংলাদেশে অভিযানে জব্দ হওয়া অস্ত্র। ছবি: এনডিটিভি

কলকাতা: মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (সিএনএফ)-এর একজন শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মিজোরাম পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ছয়টি একে-৪৭ রাইফেল, ১০ হাজার ৫০ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ১৩টি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়েছে।

এসব অস্ত্র ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসছিল বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রাজ্য পুলিশ। গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) অস্ত্রসহ ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
পুলিশ জানায়, মিজোরামের মামিত জেলার পশ্চিম ফাইলেং থানার অন্তর্গত সাইথাহ গ্রাম এলাকায় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার করছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সিএনএফ।

মিজোরাম পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তারা নজর রেখেছিলেন মিয়ানমার ও বাংলাদেশের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে এ অস্ত্র পাচার চুক্তির দিকে। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ছয়টি একে-৪৭ রাইফেল, ১০ হাজার ৫০ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং ১৩টি ম্যাগাজিন।

তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন- জব্দ এসব অস্ত্র এবং গোলাবারুদ সিএনএফ হস্তান্তর করছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’কে (ইউপিডিএফ-পি)। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সন্দেহভাজন একজন রয়েছেন, তিনি সিএনএফের শীর্ষস্থানীয় নেতা।

মিজোরামের আরেক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মিজোরাম থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ অঞ্চলের অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উদ্দেশে এটি একটি কঠোর বার্তা। এ ঘটনায় মামিতের পশ্চিম ফাইলিং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি অস্ত্র চোরাচালানের নেটওয়ার্কটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
ভিএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।