ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা নিতে আসছেন পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরার ২২ জন

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১২
মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা নিতে আসছেন পশ্চিমবঙ্গ-ত্রিপুরার ২২ জন

কলকাতা: একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বরেণ্য রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদসহ বিশিষ্ট নাগরিক ও সংগঠনকে আগামী ২০ অক্টোবর সম্মাননা দেবে বাংলাদেশ সরকার। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা মিলিয়ে মোট ২২ জনের এই সম্মাননার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন।



রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতে ‘বাংলদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ তুলে দেবেন।

কলকাতা থেকে এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে কবি নীরেন্দ্র চক্রবর্তী অসুস্থ থাকার কারণে তার পুত্র কৃষ্ণরূপ চক্রবর্তী, দেশ পত্রিকার প্রয়াত সম্পাদক সন্তোষকুমার ঘোষের কন্যা কাকলী চক্রবর্তী, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার, সাংবাদিক ও বাংলা দৈনিক স্টেটসম্যানের সম্পাদক মানস ঘোষ, সপ্তাহ পত্রিকার সম্পাদক দীলিপ কুমার চক্রবর্তী,  প্রয়াত ড. ফুলরেনু গুহর ভাইপো অমিত রায়, প্রয়াত শিবদাস ব্যানার্জির পুত্র জ্ঞান ব্যানার্জি, অধ্যাপক তরুণ স্যানাল, প্রয়াত নীহাররঞ্জন রায়ের পুত্র প্রণব রায়, প্রয়াত শিশির বসুর স্ত্রী সাবেক সাংসদ কৃষ্ণা বসু, প্রয়াত গীতিকার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের ভাইপো শিলাদিত্য মজুমদার, ভারতের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ত্রিগুণা সেনের কন্যা সুরিতা ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর ভাইঝি রুপা গাঙ্গুলি, ড. অশোক মিত্র, আকাশবাণীর উপেন তরফদার, পঙ্কজ সাহা, প্রয়াত প্রণবেশ সেনের পুত্র ইন্দ্রনীল সেন, গীতিকার গোবিন্দ হালদার অসুস্থ্য থাকার কারণে তার কন্যা গোপা হালদার, আনন্দবাজার ও প্রয়াত অশোককুমার সরকারের পক্ষে তার পুত্র অভীক সরকার, প্রয়াত সাহিত্যিক মৈত্রী দেবীর পুত্র প্রিয়দর্শী সেন, দীলিপ মুখার্জির পক্ষ শিখা মুখার্জি ও প্রয়াত চিত্র সাংবাদিক অমিয় তরফদার ভাই শেখর তরফদারের অংশ নেওয়ার কথা।

আকাশবাণী কলকাতার তৎকালীন সাংবাদিক ও কবি পঙ্কজ সাহা বুধবার কলকাতায় বাংলানিউজকে বলেন, এটা একটা অসাধারণ পদক্ষেপ। মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর পরে তারা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছেন জীবিত ও প্রয়াত সেইসব মানুষদের তাদের বংশধরদের মধ্য দিয়ে। এই পদক্ষেপ ইতিহাসের প্রতি এক ধরনের ঋণ স্বীকার।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বেনাপোল সীমান্তে আমার পরিচয়পত্র রেখে আওয়ামী লীগের একটা গাড়িতে করে নাভারণের ঝিকরগাছা হাটে যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে হাতে বানানো একটি বাংলাদেশের পতাকা উপহার দেন। সেটা আমি আজও রেখে দিয়েছি। নাভারণ হাসপাতালে গিয়ে দেখলাম চিকিৎসক, নার্সরা সব পালিয়েছে। কলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আজকের বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট শিবাজী বসুর নেতৃত্বে ছাত্ররা আর চিকিৎসকরা হাসপাতালে আহত মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করছেন। ”

তিনি আরও বলেন, “শিবাজী আমার বন্ধু। ওকে জিজ্ঞাসা করতে ও আমাকে এটা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে বারণ করে। কারণ তখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত যুদ্ধে অংশ নেয়নি। সেই কটা মাস ওরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ওরা অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিল। এই ইতিহাসের সাক্ষী আমি। ”

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১২
আরডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।