কলকাতা: বাংলা সাহিত্যের এই মূহুর্তের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্য জগৎ।
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, “এত তাড়াতাড়ি চলে গেল।
বর্ষীয়ান কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ও আমার থেকে বয়েসে ছোট। এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবতেও পারিনি। ও কবিতা লেখা শুরু করার সময় থেকেই আমার কাছে আসতো। সুন্দর এক দিব্যকান্তি একরাশ মাথাভর্তি চুলের সুনীলের সেই ছবিটা আমার চোখে ভাসে। নিজের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ে ও এতো বড়ো হলো। আমার সবকিছু আজ শূন্য হয়ে গেল। ”
চলচ্চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন বলেন, “উনি একাধারে কবি, সাহিত্যিক-- সব কিছু। বাংলাসাহিত্যে শূন্যতা সৃস্টি হলো। ``
চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ বলেন, “আমি হতবাক হয়ে পড়েছি। উনার উপন্যাস নিয়ে বেশ কয়েকটি সিনেমা করেছি। সর্বশেষ ‘মনের মানুষ। উনি আমায় চিত্রনাট্য পড়ে সব দিক ঠিক করে দিতেন। আমার একজন অভিভাবক চলে গেল। ”
বাংলা সিনেমার অন্যতম সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি বলেন, “আমি কী বলব? ওঁর লেখা আমি পড়তাম। আর ‘মনের মানুষ’ পড়তে গিয়ে আমি লালন হয়ে গেলাম। যিনি লালনকে দেখেননি, তিনি কী করে চরিত্রটি তৈরি করলেন, ভাবতে পারি না। আর তার লেখা পড়তে পারব না। ”
প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন বলেন, “ও আমার থেকে ছোট। আমার ৯০ বছর বয়স। ও ছোট, অথচ চলে গেল, যন্ত্রণা হচ্ছে। এই চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। কবিতার জন্য ওর খ্যাতি। টেলিফোনে ওর সাথে শেষ কথা হয়। ওকে বলেছিলাম, অঞ্জন দত্তের নাটক `গ্যালিলিও` দেখতে। এখন ১৫ দিন পরপর আনন্দবাজারের চুপিচুপি কলম লিখত। ”
সোমবার দিনগত রাত ২টা ৫ মিনিটে কলকাতার নিজ বাড়িতে প্রয়াণ ঘটে এই কীর্তিমান সাহিত্যিকের।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, আউটপুট এডিটর;জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]