ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সুনীলে মৃত্যুতে শোকের ছায়া ত্রিপুরা’ও

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১২

আগরতলা (ত্রিপুরা): প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের ত্রিপুরাতেও। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে শিল্প সাহিত্যের সাথে জড়িত মানুষরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর মৃত্যুতে।



মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তাঁর শোক বার্তায় বলেন, বিশিষ্ট কবি এবং কথাসাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে আমি ভীষণভাবে শোকস্তব্ধ।  

তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তিনি সম্পূর্ণ নতুন এক যুগের সূচনা করে গেছেন। ‘নীললোহিত’ ছদ্ম নামে শিশু কিশোরদের জন্য কালজয়ী সাহিত্য রচনা করে গেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় আরও উল্লেখ করেন, উদার মানবতাদী সংস্কারমুক্ত মানসিকতার অধিকারী ছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। সমস্ত ধরনের সামাজিক অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন প্রতিবাদী। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।

তিনি বলেন, ত্রিপুরার সাথে তাঁর যোগাযোগ ছিল। তাঁর সাহিত্যকর্মে ত্রিপুরার প্রসঙ্গ বিষয়ীভূত হয়েছে।

মানিক সরকার এ সময় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাঁর পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানান।

রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা ও সংস্কৃতিমন্ত্রী কবি অনিল সরকার বলেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্য এবং কবিতার অতি প্রিয় লেখক। বাংলা সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি হল তার প্রয়াণে।

ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় কেন্দ্র সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে বলেছে, বাংলা সাহিত্যের এক দিকপালের জীবনাবসান ঘটলো।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার ত্রিপুরায় এসেছিলেন। আগরতলা বইমেলাতেও তিনি আসতেন। এ রাজ্যে রয়েছে তাঁর অসংখ্য পাঠক। তাঁর উপন্যাস ‘প্রথম আলো’তে উঠে এসেছিল আগরতলার কথা। এই উপন্যাসটি পরবর্তী সময়ে পুরস্কৃত হয়েছিলো।

সুনীল প্রয়াণে রাজ্যের সাধারণ মানুষসহ কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১২
সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর,
সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।