কলকাতা: বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ইন্টারপোলের রেডকর্নার নোটিশপ্রাপ্ত আসামি সুব্রত বাইন নেপালের জেল ভেঙে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি জেল ভেঙে সীমান্ত অতিক্রম করে আবার ভারতে ঢুকে পড়েছেন।
শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ২০০৪ সালে পুলিশের তাড়া খেয়ে সীমান্ত পার হয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার তেহট্টে যান। এখানে তিনি ফতে আলী বা শুভ্র পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন। এরপর তিনি চলে যান নদীয়ার করিমপুরে।
এ্ই সন্ত্রাসী ২০০৫ সালে স্ত্রী বিউটির নামে বাড়ি কিনে দক্ষিণ কলকাতার কড়েরা থানার পাম এভিনিউ ও মেফেয়ার রোডের সংযোগস্থলে থাকতে শুরু করেন। নিজস্ব বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্কফোর্সের (এসটিএফ) গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
জামিনে মুক্তি পেয়ে সুব্রত প্রথমে শিলিগুড়িতে যান। সেখান থেকে নেপালের ঝাপা জেলার সীমান্ত এলাকা কাঁকর ভিটার সুসারি এলাকায় থাকতে শুরু করেন।
২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের দুই কর্মকর্তা সুব্রত বাইনকে পিছু ধাওয়া করে নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা শহরে ঢুকে পড়লে সেখানকার পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করে।
এর এক সপ্তাহ পর নেপালে ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপে ছাড়া পায় কলকাতা পুলিশের দু`কর্মকর্তা।
সুব্রত বাইনকে প্রকাশ্যে অশোভন আচরণের (নুইসেন্স ইন পাবলিক) দায়ে পূর্ব নেপালের ভাদ্রপুর জেলে রাখা হয়।
এরপরই গত বৃহস্পতিবার রাতে সে জেল থেকে পালিয়ে যায় বলে ভারতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সুত্রে জানা গেছে।
নেপাল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইন্টারপোলের রেডকর্নার নোটিশ অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছিল ভারতীয় সীমান্তের কাছে ভদ্রপুর জেলে। এবিষয়ে ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দাদের কাছে সর্তকবার্তা পাঠানো হয়েছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন সুব্রত। তাই ভারতীয় সীমান্তে পুলিসকে অ্যালার্ট করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: রানা রায়হান, আউটপুট এডিটর