ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আসামের কোকরাঝড়ে সহিংসতায় নিহত ৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১২
আসামের কোকরাঝড়ে সহিংসতায় নিহত ৪

ঢাকা: ভারতের আসাম রাজ্যের কোকড়াঝড় জেলায় শুক্রবার রাতে আরো ৪ জন নিহত হয়েছে। গত সপ্তাহে নতুন করে গোষ্ঠীগত সংঘাত শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে ১০ জন নিহত হল।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোকড়াঝড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে শনিবার সকালে বোডো টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের সদস্য মনো কুমার ব্রাহ্মকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার আসামের ডিজিপি জয়ন্ত নারায়ণ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল,অস্ত্রের সহজলভ্যতা নতুন করে সহিংসতার অন্যতম কারণ। এজন্য পুলিশ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে, বিরোধপূর্ণ এলাকাগুলোতে ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতা দমনে ফ্লাগমার্চ করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামের মূখ্যমন্ত্রী তরুণ গোগোইকে টেলিফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এ সময় রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের তরফে প্রয়োজনীয় সব সাহায্য করার আশ্বাস দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেন গোগোই। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আসাম সরকারকে সর্বাত্নক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিনধেকে নির্দেশ দিয়েছেন মনমোহন।

চলতি বছরের জুলাইয়ে স্থানীয় বাংলাভাষী অধিবাসী ও উপজাতীয় বোড়ো গোষ্ঠীর মাঝে গোষ্ঠীগত সংঘাত বাধে। সহিংসতায় ৯৯ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি বাস্তুহারা হয় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ।

সেসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার দ্রুত সেনা মোতায়েন করে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে ঠাণ্ডা হলেও গত সপ্তাহে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সেখানে।

আসামের বোড়োল্যান্ড স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের চারটি জেলায় স্থানীয় বোড়ো উপজাতীয় সম্প্রদায় ও বাংলাভাষী নাগরিকদের মধ্যে ভূমির দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত চলে আসছে। এর আগে ১৯৮৩ সালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতায় প্রাণ হারায় প্রায় ৩ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭,২০১২
সম্পাদনা: কামরুননাহার, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।