আগরতলা (ত্রিপুরা): সুরের মূর্ছনায় শুরু হল দুদিনের ছায়ানট উৎসব। শনিবার সন্ধ্যায় আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্রে এই উৎসব শুরু হয়।
এদিন আনন্দ প্রেক্ষাগৃহে উৎসবের সূচনা করেন আগরতলা পুর পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফুল্লজিত সিনহা। সূচনা বক্তেব্যে, এ ধরনের উৎসব দুদেশকে আরো কাছাকাছি আনবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ছায়ানটের পক্ষে আলোচনা করেন লাইসা আহমদ লিসা। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে ভৌগোলিক দূরত্ব রয়েছে। কিন্তু আমরা একে অন্যের মনের খুব কাছাকাছি। সেই মনের টানেই এখানে মিলনের গান, আনন্দের গান শোনাতে এসেছি। ”
আগরতলায় দুদিনের ছায়ানট উৎসবের আয়োজক পান্থজন। উদ্যোক্তা সংস্থার পক্ষে অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন প্রনব নন্দি।
শনিবার শিল্পীরা পরিবেশন করেন ঐতিহ্যের গান। রবীন্দ্র, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলালসহ বিভিন্ন শিল্পীর অসংখ্য গান শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়।
এর আগে, ছায়ানটের ২১ জনের শিল্পীদল শনিবার দুপুরেই রাজ্যে পৌঁছান। আখাউড়া সীমান্তে ফুল দিয়ে পান্থজনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের শিল্পীদলকে স্বাগত জানান।
উৎসবে বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ড. সনজিদা খাতুনকে ‘পান্থজন’ সম্মাননা দেয়া হবে ১৮ নভেম্বর উৎসবের দ্বিতীয় দিন।
পান্থজনের পক্ষ থেকে তার হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। বাংলাদেশের ছায়ানট রোববারও পরিবেশন করবে ঐতিহ্য এবং উজ্জীবনের গান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর