আগরতলা (ত্রিপুরা): আদালতে হেরেই গেলেন বামফ্রন্টের বিধায়ক পার্থ দাস। এতো দিন ধরে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে এড়িয়ে যাচ্ছিল রাজ্য সরকার এবং সিপিএম।
মঙ্গলবার আদালত তার রায়ে বলেছেন, বিধায়ক পার্থ দাসের তফশিলি প্রশংসাপত্র অবৈধ। আদালতের এ রায়ের ফলে তার বিধায়ক পদ খারিজ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে।
ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের শালগড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২০০৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হন পার্থ দাস। তিনি বামফ্রন্টের আরএসপি দল থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেলেন। যে আসন থেকে তিনি ভোটে জেতেন, সেটি ছিল তফসিলি সংরক্ষিত। নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য তিনি তার তফসিলি প্রশংসাপত্র জমা দেন। কিন্তু তার ওই প্রশংসাপত্রটি নিয়ে প্রথমে আপত্তি জানায় কংগ্রেস।
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে তফসিলি জাতি প্রশংসাপত্র স্ক্রুটিনি কমিটি। তারা পরীক্ষা করে বলে, বিধায়ক পার্থ দাস তফসিলি জাতিভুক্ত নন। রাজ্য সরকার গঠিত তফসিলি জাতি সংক্রান্ত রাজ্য স্তরের কমিটিও ঠিক একই কথা জানায়।
এদিকে কংগ্রেস পার্থ দাসের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল অনেক আগে থেকেই।
বিধায়ক পার্থ দাসের ঘটনা জোট শরিকের কাঁধে ঠেলে দিয়েছিলো সিপিএম। পার্টির রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর আগেই বলেছিলেন, পার্থ দাসের ঘটনায় সিপিএমের কিছু করার নেই। সিদ্ধান্ত নেবে আরএসপি।
কিন্তু আদালতের রায়ের পর এখন তার বিধায়ক পদ বাতিল করতেই হবে রাজ্য সরকারকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর