কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মন্ত্রিসভায় বুধবার ৯ জন নতুন মুখ নিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসাবে মন্ত্রী হলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, হুমায়ন কবীর।
রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে গ্রামীণ উন্নয়ন, মহিলা ও সংখ্যালঘুদের ওপর গুরুত্ব আরোপ তিনি করছেন এমন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মমতা ব্যানার্জি এদিন।
এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে যে নতুন ৯টি মুখ জায়গা পেয়েছে, তাদের সিংহভাগই তৃণমূলের গ্রামীণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নতুন যারা মন্ত্রী হলেন তারা হলেন, বেচারাম মান্না, শশী পাঁজা, কংগ্রেস থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া রেজিনগরের বিধায়ক হুমায়ন কবীর, কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন দেবনাথ, মন্টুরাম পাখিরা ও গিয়াসুদ্দিন মল্ডল।
তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, মালদায় কংগ্রেসের শক্ত অবস্থানকে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসাবে মন্ত্রিসভায় ঢুকেই পূর্ণমন্ত্রী হলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। আর প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কলকাতা রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা- সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী শ্যামল মণ্ডলকে বাদ দিয়ে মমতা এদিন অন্য মন্ত্রীদেরও বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে- কাজ করতে হবে, নইলে সরিয়ে দেওয়া হবে।
কারণ, শ্যামল মণ্ডলের কাজে মুখ্যমন্ত্রী অখুশি ছিলেন বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, ভারসাম্য বজায় রাখতে দক্ষিণ পরগনা থেকেই দুই বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা ও গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে মন্ত্রী করা হয়। এর মধ্যে গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে মন্ত্রী করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ককেও সুসংহত করার চেষ্টা করলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১২
আরডি/জেডএম