(ত্রিপুরা): শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হল অষ্টম আগরতলা পুস্তক মেলা। ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের রাজধানী আগরতলার শিশু উদ্যানে চলবে পুস্তক মেলা।
রাজধানীতে পুস্তক মেলার আয়োজক ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ড। এটা সম্পূর্ণভাবেই প্রকাশকদের মেলা। বাংলাদেশের নয়টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছে এবারের মেলায়। বাংলাদেশ থেকে আগত প্রকাশকরা জানিয়েছেন তারা এবার বিপুল পরিমাণে এনেছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং হুমায়ুন আহমেদের লেখা বই।
মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন পাঠক তৈরি করতে হবে। এর জন্য দায়িত্ব নিতে হবে শিক্ষকদের। তারাই পারেন ছাত্র ছাত্রীদের মনযোগী পাঠক হিসাবে গড়ে তুলতে। পাঠকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেন এদিনের অনুষ্ঠানে।
এবার মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনের। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারেন নি।
তিনি একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন আগরতলায় আসতে না পেরে আমি খুবই দুখিত। আগরতলা সব সময়ই এক অন্য আকর্ষণ আমার কাছে। হুমায়ুন আহমেদ এবং আমি আগরতলায় গিয়েছিলাম এক সাথে।
এবারের আগরতলা পুস্তক মেলার আহ্বায়ক শুভব্রত দেব জানান, এবারের আগে বাংলাদেশের বইয়ের এত বিপুল আয়োজন কোন বইমেলাতে হয়নি। এবার আমাদের পুস্তক মেলার মূল অভিমুখ বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও দিল্লি, কলকাতা, মনিপুর, গুয়াহাটি এসব জায়গা থেকেও প্রকাশকরা এসেছেন অষ্টম আগরতলা পুস্তক মেলায়। সব বইয়ের উপর থাকছে দশ শতাংশ ছাড়। পুস্তক মেলাকে কেন্দ্র করে অন্য ধরনের কর্মসূচিরও আয়োজন করেছে উদ্যোক্তারা।
প্রতিদিন থাকছে সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন।
তাছাড়া এবার মেলায় একদিন নির্ধারিত রয়েছে সুনীল গাঙ্গুলি স্মরণে।
বাংলাদেশ সময় : ১০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর