আগরতলা (ত্রিপুরা): দুদিন আগে সমাবেশে বেকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল কংগ্রেস নেতারা। এবার বেকার ভাতার জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ রায় বর্মণ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ রায় বর্মণ জানান, তার দল ক্ষমতায় গেলে বেকারদের মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। এজন্য চলতি মাসের ২১ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি অফিস থেকে আবেদনপত্র বণ্টন করা হবে। রাজ্যের বেকারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে এ ফর্ম সংগ্রহ করার আহবান জানান তিনি।
সুদীপ বর্মণ জানান, এরই মধ্যে কংগ্রেসের প্রতিটি অফিসে ছাপানো আবেদনপত্র পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
‘বেকারদের চাকরি অথবা বেকার ভাতা দিতে হবে’ এক সময় গোটা দেশে এ দাবি তুলেছিল বামপন্থীরা। দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে রাজনীতির অভিমুখ। বামদের পরিবর্তে ত্রিপুরায় একই স্লোগান তুলছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে যখন বেকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় তখন এর তীব্র সমালোচনা করেছিল বামপন্থী যুব সংগঠন ডি ওয়াই এফ আই।
গত শনিবার আগরতলায় যুব সমাবেশ করেছিল কংগ্রেস। সেখানে কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া, দীপা দাস মুন্সি এবং সুদিপ বর্মণ বলেন, ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এলে তারা বেকারদের ভাতা দেবেন।
কংগ্রেসের বেকার ভাতা দেওয়ার ঘোষণায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছে বামপন্থী যুব সংগঠন। তাদের বক্তব্য, বেকার ভাতা দেওয়ার নামে আরেকটি ভাওতা দিচ্ছে কংগ্রেস। কারণ স্বাধীনতার পর দেশের শাসন ক্ষমতায় সবচেয়ে বেশি সময় ছিল কংগ্রেস। তারা ৫০ বছরের বেশি সময় দেশ চালিয়েছে। তাদের নীতির কারণেই দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন পদে নিয়োগ হচ্ছে না। শূন্য পদ অবলুপ্ত করা হচ্ছে। আর তারা বেকার ভাতা দেওয়ার কথা বলে বেকারদের প্রলুব্ধ করছে।
ডি ওয়াই এফ আই’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বেকারদের প্রতি কংগ্রেসের যদি এতোই দরদ থাকে তবে সারাদেশে বেকার ভাতা ঘোষণা করুক। ত্রিপুরায় এসে বেকারদের জন্য মায়া-কান্না কাঁদছে কেন?
বাংলাদেশ সময় : ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১২
সম্পাদনা: জয়নাল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর