অভিন্ন প্রবেশিকার বিপক্ষে আগেই জোরদার আপত্তি তুলেছিল যাদবপুর। এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ও স্নাতকোত্তরে শিক্ষার্ক্ষী ভর্তির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা থেকে রেহাই পেতে চাইছে।
বিশেষজ্ঞদের মত, ভাল মানের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে ইন্টিগ্রেটেড পাঠ্যক্রম জরুরি। তা ছাড়া এই পাঠ্যক্রমের সাহায্যে গবেষণাধর্মী পড়াশোনা চালু করা সহজ।
সেট-এর ব্যাপারে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ সোমবার বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, সেখানে সেট নিয়ে আপত্তির বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়, ২০১৩ শিক্ষাবর্ষেই ইন্টিগ্রেটেড পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। সেই সঙ্গেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন যারা সেখানে পড়ছেন, তাদের জন্য স্নাতকোত্তরে ৬০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হবে সরকারের কাছে।
প্রেসিডেন্সির উপাচার্য মালবিকা সরকার অবশ্য এ দিনের বৈঠকের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্সিতে পঠনপাঠনের বন্দোবস্ত হচ্ছে একটু পৃথক পদ্ধতিতে। তাই ওখানে সেট চালু করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। এ দিন তিনি বলেন, “যা জানানোর সরকারকেই জানাব। তার আগে কিছু বলব না। ” তবে ওই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তাঁদের মতামত ছাড়াই যে-ভাবে সেটের খসড়া তৈরি হয়েছে, প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষের কাছে তা ‘অপ্রত্যাশিত। ’
রাজ্য সরকার যে ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সেট-এর মাধ্যমে ছাত্র ভর্তি চালু করার পরিকল্পনা করেছে, আগেই তা জানিয়েছিলেন রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিৎ। সেই অভিন্ন প্রবেশিকার পদ্ধতি কী হবে, তার একটি খসড়া তৈরি করে সম্প্রতি নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়েও দিয়েছে সংসদ। কিন্তু যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি শুরু থেকেই ওই অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার বিরোধিতা করেছে।
গত সপ্তাহে যাদবপুরের নির্বাহী পরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টিগ্রেটেড পাঠ্যক্রম চালু হবে। আর ২০১৩তে সেট ছাড়াই স্নাতকোত্তরে ছাত্র ভর্তির অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, [email protected]