ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আইনী লড়াইয়ে নামল বেকাররা

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪
আইনী লড়াইয়ে নামল বেকাররা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় সরকারি চাকরি নিয়ে বিতর্ক গড়াল আদালত অবধি। উদয়পুরের শিপ্রা দাস (ভৌমিক) সাম্প্রতিক নিয়োগদান প্রক্রিয়াকে অবৈধ উল্লেখ করে তা বাতিল করার জন্য ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করেন।


তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এখনো কোন রায় দেয় নি। তবে বুধবার রাজ্য সরকারকে বলেছে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কি করে করা হয়েছে তা জানাতে। আপাতত হাইকোর্টের এই রায়কেই বিদ্রোহী বেকাররা তাদের প্রাথমিক জয় বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা চাকরি না পাওয়ায় বেকার যুবক-নারীর‍া সংগঠন গড়ে তুলেছেন। তাদের দল নেতা তন্ময় নাথ জানিয়েছেন তারা পৃথক পৃথকভাবে আদালতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করবেন।

জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যে ৪৬০৬ জন প্রাথমিক শিক্ষক নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরই ৪৬০৬ জনের নামে চাকরির নিয়োগপত্র ছাড়া হয়। ত্রিপুরায় গত ১৭ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষক পদে কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

রাজ্য সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়ার ঘোষণা দিতেই রাজ্যের যুবকদের মধ্যে ছিল খুশির হাওয়া। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগপত্র পৌঁছতেই শুরু হয় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। কারণ অনেকের ভাগ্যেই জোটেনি সরকারি চাকরি।

সরকারি চাকরি নিয়ে আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ত্রিপুরার পরিস্থিতি। রাজ্য কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি করা হয়। তাদের বক্তব্য- চরম দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে এবার সরকারি চাকরি প্রদানকে কেন্দ্র করে। টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেয়া হয়েছে বলেও এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

চাকরি ইস্যুতে রাজ্যে বেকার বিদ্রোহ চরমে ওঠে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যথেচ্ছাভাবে আক্রান্ত হয় সি পি এম পার্টি অফিস। আক্রান্ত হচ্ছেন সি পি এম নেতারাও। চাকরির ইস্যুতে ত্রিপুরার যুবকরা ক্ষুব্ধ। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে এসব আক্রমণের মধ্য দিয়ে।

গত প্রায় এক মাস ধরে এই বেকার বিদ্রোহ চলার পর নতুন করে জটিলতা শুরু হতে যাচ্ছে এই চাকরি ইস্যুতে। আইনী লড়াইয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বৃহৎ অংশের বেকাররা।

চাকরি ইস্যুতে এত ঘটনার পরও মুখ খোলেনি রাজ্যের কোন মন্ত্রী বা আমলা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।