ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতি হবে তিস্তা চুক্তিতে

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৪
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতি হবে তিস্তা চুক্তিতে

আগরতলা (ত্রিপুরা) : বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি নিয়ে ফের সরব হলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সেইসঙ্গে তিস্তা জল বন্টন চুক্তির পক্ষেও সওয়াল করলেন তিনি।



মুখ্যমন্ত্রীর কথায় তিস্তা চুক্তি হওয়া দরকার দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নতির জন্য। এসোচেম আয়োজিত বিজনেস সামিটের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার রাজধানীর প্রজ্ঞাভবনে আয়োজন করা হয় এই বিজনেস সামিট। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তার ভাষণের আগাগোড়াই জোর দিলেন ত্রিপুরাসহ এই অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে।

‘এমারজিং ত্রিপুরা......দ্য ল্যান্ড অব অপরচুনিটিস। ’ এটাই ছিল এদিনের আলোচনা সভার মূল বিষয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীরা এদিন অংশ নেন এই আলোচনা সভায়। মূলত শিল্প ক্ষেত্রে ত্রিপুরায় সুযোগ এবং সম্ভাবনা শিল্পপতিদের সামনে তুলে ধরতেই আয়োজন করা হয়েছিল এই আলোচনা সভার।

মুখ্যমন্ত্রী তার উদ্বোধনী ভাষণে প্রথমেই টেনে আনেন এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা। বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রয়োজন।

তারপরই তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবহারের কথা। বলেন, তিস্তা জল বন্টনের কথা। মানিক সরকার বলেন, বছর দুয়েক আগে তিস্তা জল বণ্টন নিয়ে চুক্তি হবার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের দেশের একটি অংশের বাধার কারণে তা হয় নি।

ফলে সেসময় পিছিয়ে যায় চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তি করা থেকে। এতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী যে হতাশ তা এদিন তার কথাতেই ধরা পড়ে।

মানিক সরকার বলেন, জলে সবার সমান অধিকার। এই জলে কারোর একার অধিকার থাকতে পারে না। আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে।

এরআগে কোনদিন কোন সভায় তিস্তা চুক্তি নিয়ে এমন খোলাখুলি মন্তব্য করেন নি মানিক সরকার।

মানিক সরকার বলেন, আমার অভিজ্ঞতায় আমি মনে করছি- তিস্তা জল বন্টন চুক্তি বাংলাদেশের ভোটের একটা অন্যতম ইস্যু ছিল এবার। তবে বিএনপি তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে, তারা নির্বাচনে লড়াই না করে।  

বিএনপি এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় জেলা নির্বাচনে তারা অংশ নেবে। এটা ভালো বিষয়। এর মধ্য দিয়ে বরফ গলবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন দু দেশের সম্পর্ক উন্নতিতে এগিয়ে আসা উচিত ব্যবসায়ীদেরও।

চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে মানিক সরকার বলেন, এই বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেলে আমরা যেমন উপকৃত হব তেমনি উপকৃত হবে বাংলাদেশ। বরং ত্রিপুরার চাইতে বেশি উপকৃত হবে বাংলাদেশ।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, একবার এই সুযোগ হলে সম্পূর্ণ চিত্র বদলে যাবে। এখন যেটা আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা রয়েছে সেটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় সুযোগ। এসোচেম আয়োজিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরার শিল্পমন্ত্রী জিতেন্দ্র চৌধুরীও।

মুখ্যমন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রী দুজনই এদিন বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিল্প গঠনের ব্যাপারে এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকেই। কারণ, বেসরকারি সংস্থা তাদের পুঁজি খরচ করে এই অঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়ন করবে না।

এদিন শিল্পমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই পরিষ্কার ত্রিপুরার শিল্প ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বেশ কিছু যদি এবং কিন্তুর উপর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪,
*বিকল্প জোটের ডাক মানিক সরকারের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।