ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদী-মমতা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৫
মোদী-মমতা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: ভারতের রাজধানী দিল্লীতে বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ বৈঠক একদিকে যেমন ভারতের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার তিস্তা ও ছিটমহল বিনিময় চুক্তি নিয়েও বৈঠকটিকে ঘিরে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।



সোমবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দিল্লীতে এ দুই নেতার মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

তাদের এ বৈঠকের ফলাফল নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা। বৈঠকের উদ্দেশে রোববার (৮ ফেব্রুয়ারি) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লী পৌঁছেছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও রাজ্যসভায় বিভিন্ন বিল পাশ করাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন দরকার বিজেপি’র।

অন্যদিকে, রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে ঋণ মওকুফের মতো বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে সাহায্য দরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

বিজেপি পরিচালিত সরকারের সঙ্গে প্রথম থেকেই কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জমি বিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে লোকসভার বাইরে ও ভেতরে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে পাশে পেলে বিজিপি কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবে। এ দিক থেকে দেখতে গেলে বৈঠকটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সঙ্গে রাখতেই হবে নরেন্দ্র মোদীকে। সেই কারণে মমতা-মোদীর এ বিষয় নিয়ে সহমতে পৌঁছানো দরকার।

একইভাবে সীমান্ত প্রটোকল বিল কার্যকর করানোর ক্ষেত্রেও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন দরকার বিজেপি সরকারের। যদিও এরইমধ্যেই বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত প্রটোকল বিল নিয়ে ইতিবাচক কথাই বলেছেন মমতা। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের স্বার্থের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

নরেন্দ্র মোদীও তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনায় উৎসাহী। মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফর শেষে দেশে ফেরার পর তাই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ও সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের কাছ থেকে সফরে তিস্তা চুক্তির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।

এরপর রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে আলাদা প্রতিবেদন পাঠানো হয়।

মনে করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবিগুলোর প্রতি নরেন্দ্র মোদী কতটা নমনীয় হবেন তার ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি’র পাশে থাকার বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে।

তাই ভারতের রাজনৈতিক মহল গুরুত্বসহকারেই দেখছে এ বৈঠকে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, ৮ মার্চ, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।