কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা অঞ্চলে আতশবাজি কারখানার বিস্ফোরণে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে বিস্ফোরণস্থলেই পাওয়া গেছে চেন্নাই থেকে নেওয়া গাড়ি চালনার লাইসেন্সসহ একাধিক পরিচয়পত্র।
জানা যায়, ৮ থেকে ১৮ বছরের শিশু-কিশোরদের কাজ করানো হতো এ কারখানায়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে গ্রামের কোনো মানুষকে কারখানার কাজে নেওয়া হতো না।
এলাকার মানুষের ধারণা, বাজি কারখানার আড়ালে চলতো বিস্ফোরক বানানোর কাজ।
আর চেন্নাইয়ের একাধিক পরিচয়পত্র পাওয়া যাওয়ায় অবাক এলাকার মানুষ। কারণ তাদের বলা হয়েছিলো বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে শ্রমিকদের আনা হতো।
সূত্র জানায়, বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে দেহাংশ পাওয়া গেছে। ফাটল ধরেছে আশপাশের বাড়িতে। এ থেকে ধারণা করা যায় সেখানে শক্তিশালী বিস্ফোরক মজুত ছিলো।
যদিও কি ধরনের বিস্ফোরক মজুত ছিলো সেটা জানা যায়নি। শুক্রবার সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে যাবে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (০৭ মে) বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। হাজির হয় বাম প্রতিনিধি দলও। শুক্রবার (০৮ মে) পিংলা যাবেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা অঞ্চলে বুধবার (০৬ এপ্রিল) দিনগত গভীর রাতে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ১২ বলে জানা যায়। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, মৃতের সংখ্যা অন্তত ২০।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৫
এএ
** এনআইএ তদন্তের দাবি বিজেপির