ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নারী পাচারের অভিযোগ কলকাতায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৫
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে  নারী পাচারের অভিযোগ কলকাতায় ছবি: প্রতীকী

কলকাতা: কলকাতার এক আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উঠল নারী পাচারের মত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সি আই ডি।

খোঁজ পাওয়া গেছে মুম্বাই থেকে হারিয়ে যাওয়া এক কিশোরীর।

অভিযোগ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মোড়কে চলছে অন্ধকার জগতের ব্যবসা। কলকাতার একাধিক এনজিও এবং কিছু অভিভাবক পুলিশকে জানায় তাদের মেয়েরা সম্ভবত বন্দি আছে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভেতরে। তাদের অভিযোগ ঐ প্রতিষ্ঠান থকেই উধাও হয়ে গেছে তাদের শিশু কন্যারা।

কলকাতার সল্টলেক অঞ্চলের সি এল ২৪৯ ঠিকানায় গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের শাখা আছে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়। এক সাবেক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এই ধার্মিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বলে জানা গেছে।

অভিযোগ পেয়ে শনিবার (১৯ জুলাই) গোপনে ঐ  ধার্মিক প্রতিষ্ঠানের কলকাতার শাখায় অভিযান চালায় রাজ্য সরকারের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি এবং  সিআইডি। নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সেই কন্যাদের খোঁজ না পাওয়া গেলেও, বেশ কয়েকজন মেয়ের হদিশ মিলেছে। জানা গেছে এই সব মেয়েরাই এক ধরনের আচ্ছন্ন অবস্থায় আছে।

কলকাতার বুকে এই ধরনের ঘটনা চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন নাবালিকা এই মেয়েরা হয়তো কিছুদিন বাদেই পাচার হয়ে যেত। এই মেয়েদের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছে পুলিশ।

তবে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। এই আগে জুতো নির্মাণকারী বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান খাদিম কর্তার অপহরণের সঙ্গেও জুড়েছিলও এই ধার্মিক প্রতিষ্ঠানের নাম।

জানতে পারা গেছে কিশোরীদের রেখে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হোতো। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের এই ধরনের কোনও অনুমতি পত্র নেই। আরও জানা গেছে ধার্মিক শিক্ষা ছাড়া অন্য কোনও রকমের শিক্ষাই দেওয়া হোতো না।

শুধু তাই নয় নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই কিশোরীদের বিভিন্ন শাখায় পাঠিয়ে দেওয়া হত। কাকে কোথায় পাঠান হচ্ছে তার কোনও নথি রাখা হতো না। মনে করা হচ্ছে তদন্তের সাথে সাথে আগামীদিনে আরও গোপন তথ্য সামনে আসতে চলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৫
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।