ওই তো বাংলাদেশ...

আগরতলা, ভারত থেকে চট্টগ্রাম, বাংলাদেশের পথে: বাংলাদেশিদের জন্য আগরতলার মানুষের ভালোবাসা একটু বেশিই। পথে পথে বাঙালির সংবর্ধনা।

মাইকে তো একজন বলেই ফেললেন, আমরাতো বাংলাদেশিই। বাংলাদেশিদের সঙ্গে ছবি তোলার আগ্রহও বেশি তাদের।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে আগরতলার জিনজার হোটেলের সামনে থেকে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) র‌্যালির ফ্ল্যাগ অফ করেন ত্রিপুরা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল কে নাগরাজ।

এদিন ২১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সীমানা পেরিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌঁছাবে দলটি। বিলোনিয়া সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পরশুরাম, ফেনী হয়ে যাবে দলটি।

আগরতলা ছাড়ার পথে পথে মানুষের আগ্রহ একটু বেশি বাংলাদেশি প্রতিনিধি অবস্থানকারী গাড়ির প্রতিই। হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছেলে-বুড়ো সবাই।

ত্রিপুরা আর বাংলাদেশের পার্থক্য বোঝা দায়। এখানকার কথাবার্তা, মানুষের পোশাক-আশাক আমাদের মতোই। শুধু মাঝে একটি সীমান্ত।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ ৩৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিল।

১৯৬৮ সালের প্রথম ভাগে দায়ের করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, শেখ মুজিব ও অন্যরা ভারতের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। মামলাটির পূর্ণ নাম ছিল রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবর রহমান গং মামলা। তবে এটি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবেই বেশি পরিচিত, কারণ মামলার অভিযোগে বলা হয়ছিল যে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় কথিত ষড়যন্ত্রটি শুরু হয়েছিল।

এর আগে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় আগরতলার জিনজার হোটেলে পৌঁছে র‌্যালি। আগরতলা রোটারি ক্লাব স্বাগত জানায় রাইডারদের। শুক্রবারের ২৯০ কিলোমিটার পথের পরিকল্পিত সময় ধরা হয়েছিল ৮ ঘণ্টা। তবে লাগে ১৫ ঘণ্টা।

বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নিরোধ চন্দ্র মন্ডল বলেন, এ পথ বাংলাদেশের যান চলাচলের উপযোগী নয়। চট্টগ্রাম পোর্ট থেকে পণ্যবহনকারী যান আগরতলা থেকে জৈন্তাপুরের এ সড়কে চলতে পারবে না। এটা ঝুঁকিপূর্ণ পথ।