ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ফের ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়, পশ্চিমবঙ্গে বন্যা!

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১
ফের ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়, পশ্চিমবঙ্গে বন্যা!

কলকাতা: আবারও ঘূর্ণাবর্ত জোরালো হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই চব্বিশ পরগণা, নদীয়া ও দুই মেদিনীপুরে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৭০ থেকে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
 
এদিন বিকাল ৪টাথেকে টানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে মধ্য, উত্তর সহ গোটা কলকাতায়ই পানি জমে যাওয়ার খবর এসেছে। ফলে অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীরা পড়েছেন ব্যাপক অসুবিধায়।

যদিও সমস্ত পাম্পিং স্টেশনগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। কিন্তু কিছু পাম্পিং মেশিন ঠিকমত কাজ না করায় বহু এলাকায় রাত পর্যন্ত পানি নামেনি।

এর আগে ঘূর্ণাবর্ত ঝাড়খণ্ডে দিকে চলে যাওয়ায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমে আসছিল কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গিয়েছে, ঘূর্ণাবর্তটি নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে অবস্থান করছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।

এদিকে, টানা চারদিনের বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ডিভিসি থেকে ৮২০০০ কিউসেক জল ছাড়ায় নদিয়া, বর্ধমান, হগলি ও বীরভূম বিস্তীর্ন অঞ্চল পানির তলায় চলে গেছে। জলবন্দী মানুষদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

এদিন নদিয়ার নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কালিগঞ্জ ও নবদ্বীপের বিস্তীর্ন অঞ্চল নতুন করে পানির তলায় চলে গেছে। গঙ্গার পানি দু’কুল ছাপিয়ে তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। বর্ধমানের গুশকড়া, কালনার পূর্বস্থলীর, কেতুগ্রাম জলবন্দী মানুষদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক ওঙ্কারনাথ মিনা জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি যথাযথ ভাবে সামাল দিতে তারা পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

ভাগিরথীর নদীর পানির স্তর বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ডিভিসির পানি ছাড়ায় হুগলির আরমবাগ, খানাকুলে গোঘাট এলাকায় পানি বাড়ছে। আগেই পৌরসভাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। কৃষিজমি ও বাড়িঘর জলের তলায় চলে গেছে।
ডিভিসি জানিয়েছে, জলাধারগুলিতে যেভাবে তোড়ে পানি ঢুকছে, তাতে একসঙ্গে ১ লাখ কিউসেকের বেশী হারে পানি ছাড়তে হবে। আর এই ঘটনা ঘটলে পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের সুতি, বাদলা নদী ভেসে যাওয়ায় মানুষ বিপদে পড়েছে। ফারাক্কা, নবগ্রাম, কান্দি ও কে বি রোড পানির তলায় চলে গেছে বলে স্থানীয় মানুষ জানিয়েছে।

ভারতীয় সময়: ২১৪৫ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।